জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর’র চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর ও ভ্যাট কোনো বোঝা নয়। বরং এটি দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হওয়ার মাধ্যম। আমদানি নির্ভরতা, সিজন পরিবর্তন ও সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও করের বোঝাটাই সবার কাছে মাথা ব্যথার কারণ, এই মানসিকতা থেকে সবাইকে বের হতে হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বাজেট শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এনবিআর’র চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কর ও ভ্যাট শব্দটি দীর্ঘদিন ধরে জনমনে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে তা দূর করতে হবে। জনগণের কর ও ভ্যাটের টাকায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। কর দেওয়ার অর্থ হলো দেশের উন্নয়নের অংশীদার হওয়া। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে নিতে কর প্রদানের ক্ষেত্রে সবার দায়িত্বশীলতা ও ইতিবাচক মানসিকতা ধারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত চার বছরে ২১ লাখ থেকে ৩৬ লাখে করদাতা এবং ২ লাখ থেকে ৫ লাখে ভ্যাটদাতা উন্নীতকরণ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে কর নেট ও ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রংপুর চেম্বারের সভাপতি মো. আকবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম।
এছাড়াও প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী, নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি এস এম শফিকুল আলম ডাবলু, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, রংপুর উইমেন চেম্বারের সভাপতি আনোয়ারা ফেরদৌসি পলি, লালমনিরহাট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মোড়ল হুমায়ূন কবীর, গাইবান্ধা চেম্বারের সহসভাপতি আব্দুর রশীদ, কুড়িগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহমুদ নবী মুন্না, রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু ও রংপুর জেলা বিড়ি মালিক সমিতির কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী রশিদুস সুলতান বাবলু প্রমুখ।
আগামী বাজেটে সহজ ও ব্যবসাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা, আয়কর ও ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি, কর ব্যবস্থার সম্পূর্ণ অটোমেশন, স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিতকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দাবি জানিয়েছেন রংপুর চেম্বারের নেতৃবৃন্দ।
