হামলার পর হামলা চালিয়ে গাজার অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে রাফা শহরে সমবেত করেছে ইসরাইল। এরপর তাদেরকে সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, সেখানে হামাসের ঘাঁটি আছে। তাই তারা সেখানে হামলা চালাবে। এরই মধ্যে গত দু’দিন ধরে সেখানে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এক্ষেত্রে তারা বিশ্বনেতাদের কথা থোড়াই কেয়ার করছে। কিন্তু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে অন্যখানে। তা হলো রাফা সীমান্তে আশ্রয় নেয়া কমপক্ষে ১৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজা। আগে থেকেই খবর প্রচার হয়েছে যে, ইসরাইল গাজাবাসীকে ভিন্ন কোনো দেশে জোর করে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেছে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে এখন উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে রাফা শহরটি হলো গাজার সর্ব দক্ষিণে। তার সঙ্গে রাফা ক্রসিং পয়েন্টের মাধ্যমে মিশরের সঙ্গে যুক্ত। এসব মানুষের ওপর রাফা ছেড়ে যাওয়ার চাপ দেয়ার ফলে তারা মিশরের দিকে বৈধ বা অবৈধ পথে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এরই প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সত্যয়ে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজার দক্ষিণে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোকে উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়িঘরে ফেরত আসার অনুমতি দিতে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেন।
বলেন, তাদের শক্তি প্রয়োগের ফলে ফিলিস্তিনবাসী সীমান্ত অতিক্রম করে মিশরে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের এই উদ্যোগ বন্ধ করতে যৌথ প্রচেষ্টায় জোর দিয়েছে ফিলিস্তিন এবং মিশর। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দিচ্ছে না মিশর।