বিগত ৫৭ বছর বা প্রায় ছয় দশক ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজাতে দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইহুদিবাদী দেশটির আগ্রাসনের মধ্যেই এ দখলদারিত্বের বৈধতা নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) ঐতিহাসিক শুনানি শুরু হয়েছে আজ।
সোমবার নেদারল্যান্ডসের হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) সপ্তাহব্যাপী এই শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়। খবর আল জাজিরার।
রোজার আগে জিম্মি মুক্তি না দিলে রাফাহতে আক্রমণের হুমকি ইসরায়েলেররোজার আগে জিম্মি মুক্তি না দিলে রাফাহতে আক্রমণের হুমকি ইসরায়েলের
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মামলাটি গাজায় চলমান যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজে-তে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা গণহত্যার মামলা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এই মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমে দখলদারিত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য তিনটি এলাকাই ফিরে পেতে চায়।
শুনানিতে প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও পটভূমি তুলে ধরেন এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও অগ্রাসনের চিত্র উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করেই ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করেছিল জাতিসংঘ।
শুনানিতে তিনি ইসরায়েলের ক্রমাগত দখলদারিত্বের উদ্দেশ্য, ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ অন্তর্ধান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ধ্বংস অগ্রহণযোগ্য এবং অমার্জনীয় বলে জানান।
নিরস্ত্র বন্দিদের হত্যা করছে রাশিয়ানিরস্ত্র বন্দিদের হত্যা করছে রাশিয়া
এ সময় ইসরায়েলের প্রতিনিধি তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
টানা ছয় দিন শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে নজিরবিহীন সংখ্যক দেশ অংশগ্রহণ করবে। যদিও মামলাটি ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধের পটভূমিতে করা হয়েছে। তবে এটি পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের উন্মুক্ত দখলদারিত্বের ওপরও আলো ফেলবে।