সীমান্ত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পাশাপাশি গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটেছে। এই সীমান্তে বাংলাদেশিরা মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিজেদের জানমাল নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে যাচ্ছে। অথচ সরকার মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে পারছে না।’ আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘৭ জানুয়ারির পাতানো ডামি নির্বাচন দেশ পরিচালনায় সরকার ও সরকারি দলকে কোনো রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা দেয়নি। বিরোধী দলসমূহের ডাকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আরও একবার সরকার ও সরকারি দলের প্রতি নজিরবিহীন গণঅনাস্থা ব্যক্ত করেছে। অহিংসভাবে দেশের মানুষ সরকারের নির্বাচনী প্রহসন ও জবরদস্তির ক্ষমতাকে না বলে দিয়েছে। দেশের মানুষের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। তাদের কুটনৈতিক দেখা সাক্ষাৎ ও সৌজন্যমূলক কথাবার্তাকে অনির্দিষ্টকাল সরকারের ক্ষমতা থাকার লাইসেন্স হিসাবেও বিবেচনা করার অবকাশ নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, গত একমাসে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন আরও দূর্বিসহ হয়েছে। মুনাফাখোর সিন্ডিকেটসমূহ এখন আরও বেপরোয়া। ব্যাংকসহ আর্থিকখাতের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। টাকা ছাপিয়ে এখন শেষ রক্ষার চেষ্টা চলছে। সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজের বিভিন্ন অংশে ধর্ষক, নিপীড়ক, দূর্বৃত্ত ও দখলদারদের দৌরাত্ব বাড়ছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি দল ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এসব রোমহর্ষক ঘটনা ঘটছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের ডামি সরকারের অধীনে দেশের মানুষের ভোট ও জীবনজীবিকা যেমন বিপন্ন, তেমনি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে নিরাপদ নয়। যেকোনোভাবে ক্ষমতায় থাকার বিনিময়ে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিকিয়ে দিতেও তারা দ্বিধা করছে না। জনম্যান্ডেটহীন এই ডামি সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া ভোটের অধিকার ও জননিরাপত্তাসহ কোনো কিছুই নিশ্চিত করা যাবে না।’
গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিদাতারা হলেন গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও হাবিবুর রহমান রিজু।