বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ক্ষমতাসীন জান্তার সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে ইতিমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ রাখাইন থেকে পালিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আরাকানের সংঘর্ষ রাজ্যটির বুচিডং পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। বুচিডং বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া নামের শহরটি দখলে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইন থু খা বলেন, ‘আমরা কালাদান নদীর তীরবর্তী বন্দরনগর পালেতওয়া দখলে নিয়েছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর (বাংলাদেশ ও ভারত) সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে আরাকাইন আর্মি রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দনশহর পাউকতাও দখল করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এর পর থেকেই মূলত সেনাবাহিনী ও আরাকার আর্মির সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি এখন পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য আরাকান এক্সপ্রেস নিউজ জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই আরাকানে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। গত বৃহস্পতিবার বুচিডংয়ের একটি রোহিঙ্গা গ্রামে ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এতে তিনজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের নিহত হওয়ার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল শুক্রবারেও বুচিডংয়ের দুটি বাড়ি বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে কোন পক্ষ এ বোমা ফেলেছে তা এখনো জানা যায়নি। হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন। এতে বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আক্রান্ত বাসিন্দাদের অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।