এভিন লুইসের ঝড়ো শুরুর পরও ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা টাইগার্স। তবে দাসুন শাকা ও মোহাম্মদ নওয়াজের দুর্দান্ত জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে তারা। টানা দুই ম্যাচ জেতা খুলনা এদিন রংপুরের রাইডার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে।
আগের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস। তাদের দুজনের উদ্বোধনী জুটিতেই বাজিমাত করেছিল তারা। তবে এদিন তাদের জুটিই গড়তে দেননি শেখ মেহেদী হাসান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সুইংয়ে খানিকটা খাবি খাচ্ছিলেন বিজয়। পরের ওভারে রান তুলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দিয়ে গেলেন নিজের উইকেট।
মেহেদীর টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েছেন ৭ বলে রানের খাতা খুলতে না পারা বিজয়। খুলনার অধিনায়ক ফিরলেও দ্রুত রান তুলতে থাকেন লুইস। তাকে অবশ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে মেহেদীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ধরা পড়েন। জয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান।
চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। হাসান মাহমুদের লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে টপ এজ হলে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়তে হয় ৪ রান করা আফিফকে। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লুইসও। শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটারকে হাসান সেঞ্চুরি করতে দেননি হাসান মাহমুদ।
ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে এজ হয়ে সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েন ৩৭ রান করা লুইস। ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অবশ্য দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন শানাকা ও নওয়াজ। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৭ রান। শানাকাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। ডানহাতি এই পেসারের ফুলটস ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটার। শানাকার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান।
শানাকা না পারলেও শেষ ওভারে গিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নওয়াজ। রিপন মণ্ডলের বলে ছক্কা মেরে ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। যদিও পরের বলেই আউট হয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলেছে খুলনা। রংপুরের হয়ে হাসান তিনটি এবং মেহেদী নিয়েছেন দুটি উইকেট।