বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার দুর্দান্ত এক বছর কাটিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে সহায়তা করেছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে তার দাপুটে বোলিংয়ে।
যার পুরস্কার পেয়েছেন নাহিদা আক্তার। আইসিসির বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের একজন করে ক্রিকেটার বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন। আইসিসির সেরা একাদশের বাকি জায়গাগুলো দখল করেছেন বলতে গেলে অস্ট্রেলিয়ানরাই।
আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে ওপেনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফোবি লিচফিল্ড। ২০ বছরের এই ব্যাটার গত বছর ৪৮৫ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার এলিস পেরি আছেন একাদশে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার বেথ মোনির জায়গা নেওয়ার মতো পারফরম্যান্স ২০২৩ সালে কেউ করেনি।
একইভাবে অস্ট্রেলিয়ার বোলার অ্যাশ গার্ডনার গত বছরে ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট নিয়ে বর্ষসেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন। একাদশে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার আন্নাবেল সাদারল্যান্ড।
আইসিসির বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার ওপেনার চামারি আতাপাতুকে। ব্যাট হাতে তিনি শেষ হওয়া বছরে ৬৯.১৯ গড়ে ৪১৫ রান করেছেন। এর মধ্যে ১৪০ রানের ইনিংসও ছিল। এছাড়া আইসিসির ঘোষিত বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে দলে নিউজিল্যান্ডের আমেলিয়া খের ও লিয়া তাহুহু জায়গা পেয়েছেন। আছেন ইংল্যান্ডের নাট স্কইভার ব্রান্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাদিন ডি ক্লার্ক।
আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে নারী দল: ফোবি লিচফিল্ড (অস্ট্রেলিয়া), চামিরা আতাপাতু (শ্রীলঙ্কা), এলিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া), আমেলিয়া খের (নিউজিল্যান্ড), বেথ মনি (উইকেটরক্ষক/অস্ট্রেলিয়া), নাট স্কাইভার ব্রান্ট (ইংল্যান্ড), অ্যাশ গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া), আন্নাবেল সাদারল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া), নাদিন ডি ক্লার্ক (দক্ষিণ আফ্রিকা), লি তাহুহু (নিউজিল্যান্ড), নাহিদা আক্তার (বাংলাদেশ)।