বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সরকার নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা শূন্যের উপর টিকে আছে। এদের পায়ের নিচে মাটি নেই।
ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রোববার বিকালে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এই সরকার পরাজিত হয়েছে এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, তাদের ( সরকার) পায়ের নিচে মাটি নেই। অনেকে বলে, এই সরকার কি আরো ৫ বছর থাকবে? তখন বলি, স্বৈরাচার এরশাদ চলে যাওয়ার আগেও কি কেউ জেনে ছিল যে সে চলে যাবে? তিনিও গেছেন! আমি বলতে চাই, এই সরকার শূন্যের ওপর টিকে আছে। এদের পায়ের নিচে মাটি নাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সত্যিকার ইতিহাসকে কেউ মুছে দিতে পারবে না। যতই উপন্যাস লেখা হোক না। আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। কিন্তু তাদের ভূমিকা কী ছিল সেটা সবারই জানা। সেদিন আওয়ামী লীগ দায়িত্ব পালন করেনি। সবাই পলায়ন করেছিল। মিথ্যাচার দিয়ে একটি দেশের নেতা হওয়া যায় না, রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর সবার মুখে মুখে ছিল ‘সিক্সটিন ডিভিশন’। সিক্সটিন ডিভিশন হলো যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তারা বিজয়ের পর বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছিল। এই সিক্সটিন ডিভিশন পরিচালনা করছে সরকার।
মঈন খান বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষক সেটি তো আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র তার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানিয়েছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সময় চট্টগ্রাম কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেকে ছিলেন। কেউ কিন্তু এই ঘোষণা দেওয়ার সাহস পাননি। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাধীনতার।
কোন লোভ জিয়াউর রহমানকে স্পর্শ করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে উন্নয়নের কথা এ সরকার বলে, সে উন্নয়ন তো শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। রেমিটেন্স, গার্মেন্টস শিল্প তিনি প্রথম চালু করেছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি কল্যাণে তিনি স্থিতিশীল করেছিলেন দেশকে। তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এদেশে একটি দাঙ্গা হয়েছিল সেদিন প্রত্যেক বর্ণের গোষ্ঠী মানুষকে তিনি পরিচয় দেন জাতীয়তাবাদ। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে অবিস্মরণীয়।
‘আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতন্ত্রকে বাকশালে পরিণত করে আর বিএনপি বাকশালকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করে। এটাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রভেদ।’
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ভেতরে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল সেটি নিরসনে কাজ করে গেছেন জিয়াউর রহমান। সেই রাখাল রাজার জানাজায় যত মানুষ হয়েছিল পৃথিবীতে কারো জানাজায় এতো লোক এখনও পর্যন্ত হয়নি।