দেশে একদলীয় শাসন পরিপূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচন করানো হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘একদলীয় আওয়ামী শাসন দেশকে সংঘাত ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। সেই সংঘাত দেশকে ঘোর অন্ধকার যুগে নিয়ে যাবে।’
শনিবার বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘পাতানো নির্বাচন ও অসাংবিধানিক ফাইভ পার্সেন্ট সংসদ’ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মঞ্জু এসব কথা বলেন।
পরে বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মঞ্জু বলেন, ‘স্বৈরাচারী রাজা ও এক ব্যক্তির স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির জন্য সারা বিশ্বের মানুষ সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রামের মাধ্যমেই গণতন্ত্র ও বিশ্বজনীন মানবাধিকারের ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা পৃথিবী যখন আরও বেশি মানবিক ও গণতান্ত্রিক হওয়ার জন্য উন্নত জবাবদিহিতামূলক পথ খুঁজছে, আওয়ামী লীগ তখন আমাদেরকে আদিম যুগে নিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী এক দলীয় শাসন দেশকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যাবে।’
মঞ্জু আরও বলেন, ‘অতীতে একদলীয় শাসনের স্মৃতি আমাদের জন্য সুখকর ছিল না। ব্যক্তির ইচ্ছা আর হুকুমেই যদি সব হবে তাহলে সংবিধান আর আইন কানুনের কী দরকার?’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠিনক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, নজরুল ইসলাম, আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, রিপন মাহমুদ, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।