২০২৩ সাল ছিল শরীফুল ইসলামের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অসাধারণ এক বছর। কদিন আগেই তাঁর প্রত্যয় ছিল, ২০২৪ সালেও সেই ছন্দ ধরে রাখবেন বলে। সেই কথা আর কাজে মিল রাখাই যেন শুরু করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
দুই ছক্কার পর ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করবেন ভাবেননি শরীফুল। ২০২৩ সাল ছিল শরীফুল ইসলামের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অসাধারণ এক বছর। কদিন আগেই তাঁর প্রত্যয় ছিল, ২০২৪ সালেও সেই ছন্দ ধরে রাখবেন বলে। সেই কথা আর কাজে মিল রাখাই যেন শুরু করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে দারুণ এক উইকেটে হ্যাটট্রিক করেছেন দুর্দান্ত ঢাকার শরীফুল। যার কল্যাণে দলও নিজেদের প্রথম ম্যাচে পেয়েছে দুর্দান্ত জয়। শরীফুল ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও তুলেছেন হাতে। তাই ম্যাচ শেষে তৃপ্ত শরীফুল বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, গত বছর যেভাবে শেষ করেছি এ বছর সেভাবে শুরু করতে চাই। আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম ম্যাচটা ওরকম হয়েছে। চেষ্টা করব বাকি ম্যাচেও এভাবে পারফরম্যান্স করার।’
ইনিংসের শেষ তিন বলে খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ফেরান শরীফুল। তাতে বিপিএলের ৭ম হ্যাটট্রিক লেখা হলো এই বাঁহাতি পেসারের নামে। যেকোনো ক্রিকেটে এটাই তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক। কিন্তু যখন হ্যাটট্রিক করছিলেন তখন শরীফুল স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা গ্যালারিতে।
তাই শরীফুলের কাছে এই হ্যাটট্রিকের মাহাত্ম্য একটু ভিন্ন, ‘খুব ভালো অনুভূতি, বিশেষ করে আমার পরিবার আজকে মাঠে এসেছে প্রথম খেলা দেখতে এবং সেদিনই আমার হ্যাটট্রিক হয়েছে এটা খুব ভালো লাগছে। কিন্তু চিন্তা ভাবনা হ্যাটট্রিক ছিল না। চিন্তা করেছি আমার হাতে তখনো বল আছে আরও তিনটা, (২টা ছক্কার হজমের পর) ভালোভাবে ফিরে আসতে পারব। হয়তোবা এখান থেকে একটা উইকেট নিতে পারব। কিন্তু হ্যাটট্রিকটা?’