খেলা শুরু হতেই ২০০ টাকার টিকিটের দাম হাঁকা হচ্ছে ৫০০। অনেকে নিরুপায় হয়ে দ্বিগুণেরও বেশি টাকা দিয়ে সেসব টিকিট কিনে ঢুকছেন স্টেডিয়ামে। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে সেটি করতেই যেন বাধ্যই হচ্ছেন ক্রিকেট সমর্থকেরা। কিন্তু কাউন্টার থেকে সেসব টিকিট অন্যদের অর্থাৎ কালোবাজারিদের হাতে কীভাবে গেল?
দুপুর আড়াইটায় বিপিএলের ১০ম আসরের পর্দা ওঠে। ৪১ দিনের দীর্ঘ এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৪৬টি। যেখানে ৭ দলের তুমুল লড়াইয়ে কেঁপে উঠবে হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে েএমন আয়োজন নিয়েও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
ক্রিকেটের প্রাণ হলেন দর্শক ও সমর্থকরা। কিন্তু তাদের স্টেডিয়ামে আসতে যেন যুদ্ধে নামতে হয়। ‘একটি টিকিটের জন্য কেবল টাকা নয়, থাকতে হয় জোরালো তদবির।’ এমনটিই তাদের অভিমত। কাউন্টারে গেলে টিকিট নেই, অথচ কালোবাজারিদের হাতে ঘুরছে শত শত টিকিট। শেষ পর্যন্ত সেগুলোর অধিকাংশই থাকে অবিক্রিত, আর কাউন্টার থেকে সব টিকিটি বিক্রি শেষেও গ্যালারি থাকে ফাঁকা। এতে দর্শকদের মনে মাঠে গিয়ে খেলা দেখার প্রতি তৈরি হয় বিরূপ ধারণা।
এ দিকে কেবল মিরপুরে নয়, বাংলাদেশের সব স্টেডিয়ামেরই একই চিত্র। তাছাড়া খেলার বাইরে ট্রেনের টিকিট নিয়েও রয়েছে কালোবাজারির অভিযোগ। সাধারণ মানুষ এসব বিষয়ে সুরাহা চেয়ে সামাজিকমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিকার চান। তবে কিছুদিন সেগুলো নিয়ে আলোচনার পর, সব আবার আগের মতো চলতে থাকে।
মিরপুরের কয়েকজন টিকিট কালোবাজারির সরল স্বীকারোক্তি, ‘এগুলো অন্যায়। আমরা বাধ্য হয়ে করি। কিছু টাকার জন্য আমাদের এটা করতে হয়। ইচ্ছা আছে এসব কাজ ছেড়ে দেয়ার।’