বুড়ো হাড়ের ভেল্কি যাকে বলে। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়েছেন সিলেট কাপ্তান মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার গুড লেন্থে করা ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ইয়াসিরের ক্যাচে পরিণত হন চট্টগ্রামের ব্যাটার ইমরানুজ্জামান।
সিলেটের হয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা বোলিংয়ে আসতেই যেন আওয়াজ খানিক মাত্রা ছাড়াল। ক্রিকেট থেকে অনেকটা দূরে সরে গেলেও এখনও তার জনপ্রিয়তায় যে ভাটা পড়েনি, সেটাই যেন জানান দিলেন মিরপুরের হাজারখানেক দর্শক! ম্যাচ শুরুর আগে হাসির ছলে মাশরাফী বলেছিলেন, ‘পুরো ফিট নই আমি’। তাতে কী- এতোদিনের অভিজ্ঞতা তো আর বৃথা যেতে পারে না।
প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার পর ওভারে দিয়েছেন মাত্র দুই রান। মাশরাফি শুরু থেকে খেলবেন কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে টসের সময়েই কাটল শঙ্কা। মাশরাফি নেমেছেন সিলেটের অধিনায়ক হয়েই। যদিও তাকে ব্যাট করতে হয়নি। কিন্তু বোলিংটা করেছেন। তাতে দর্শকরাও বরণ করে নিয়েছেন প্রিয় ম্যাশকে।
অবশ্য মাশরাফি যে পরিপূর্ণ ফিট না, তা বোঝা গেল ফিল্ডিংয়ে। বোলিং করতে এসেও খুব বড় রানআপ নেননি মাশরাফি। অনেকটা স্পিনার মতোই বল করেছেন। তবে সাবেক টাইগার অধিনায়কের বল হাতে যে দাপট কমেনি, তা টের পাওয়া গেল শুরুতেই। প্রথম বলেই তিনি ফিরিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যান ইমরান উযজামানকে। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়েও ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এরপর একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নির্বাচনের পর হাঁটুর অপারেশন করাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। এই অবস্থাতেও শুরু থেকে তাকে খেলানোর ব্যাপারে আশাবাদী ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স।