মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনীর তীব্র আক্রমণে গত দুই দিনে আরও ২৭৬ জান্তা সেনা ভারতের মিজোরামে পালিয়ে গেছে। গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সেনারা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে মিজোরাম-মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বান্দুকবাঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইনে একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা তাদের ঘাঁটিগুলো দখল করে নেওয়ার পর তারা ভারতে আশ্রয় নেয়। এই পলাতক সেনাদের আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন করা হবে।
আরাকান আর্মি ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ দাবি করার কয়েকদিন পর এই সেনা সদস্যরা পালিয়ে এলো। এ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন অংশে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে সামরিক সরকারের অবস্থা অনুমান করা যাচ্ছে। সর্বশেষ ২৭৬ জনসহ গত ১৩ নভেম্বর থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে।
মায়ানমারের সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করার কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। এবারও আশ্রয় নেয়া সেনা সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এর আগে, ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে আসা সৈন্যদের মণিপুরে মিয়ানমার সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।
মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, আ’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি-এই তিন সশস্ত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ গত অক্টোবরের শেষের দিকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ১০২৭’ নামের একটি অভিযান চালায়। এই অভিযানের পর মিয়ানমারের সীমান্তগুলো একের পর এক জান্তার হাতছাড়া হতে থাকে।