দুর্নীতির দায়ে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেন। তবে তিনি দুই বছরের শাস্তি পেলেও সেখান থেকে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করেছে আইসিসি। তাতে দেড় বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হবে নাসিরকে। মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নাসিরের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিসি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের নীতির তিনটি ধারা ভঙ্গ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা এই ক্রিকেটার। তিনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। যার অর্থ এরই মধ্যে প্রায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে যে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ইসিবির ২.৪.৩ ধারায় তিনি দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে অন্তত ৭৫০ ইউএস ডলারের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ হলো, তিনি আইফোন-১২ উপহার হিসেবে নিয়েছেনা যা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিতে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া ২.৪.৬ ধারায় তিনি তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিতে সহযোগিতা করেননি এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসি তাদের বার্তায় জানিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং সাজা মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। সেজন্য নতুন করে শুনানির দরকার পড়েনি। ২০২১ সালে আবুধাবি টি-১০ লিগে খেলতে গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উপহার নিয়েছিলেন তিনি। ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের সেই উপহার নেয়ার কারণও জানাতে পারেননি টাইগার এই ক্রিকেটার। এরপরে মোট ৩টি ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তির ঘোষণা করা হয়।