লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর হামলায় নিজের একটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ঘাঁটির ‘ব্যাপক ক্ষতি’ হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। উত্তর ইসরাইলের ওই ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। সংগঠনটি বলেছিল, বৈরুতে হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরিকে হত্যার জবাব দিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইরন ডোমকে ফাকি দিয়ে দুর্দান্ত হামলার সেই ভিডিও প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ।
গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, লেবানন সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে মেরন পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ওই বিমান ঘাঁটিতে শনিবার হিজবুল্লাহ অন্তত ৫৮টি রকেট ও বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইরন ডোম রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। ভিডিওতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ঘাঁটিটির বেশ কয়েকটি রাডারকে ধ্বংস হতে দেখা যায়। হামলায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হওয়ার কথা স্বীকার করলেও সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানায়টি দখলদার সেনারা।
তবে হিজবুল্লাহ ওই হামলার যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইসরাইলি ঘাঁটিটির বেশ কটি রাডার গম্বুজে ট্যাংক-বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে। যে ঘাঁটির কাজই হচ্ছে ‘শত্রু বাহিনীর’ বিমান হামলা সম্পর্কে আগাম সতর্কতা সৃষ্টি ও প্রতিহত করা সেই ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানল। গতরাতে ইসরাইলি বাহিনীর সেনা মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি দাবি করেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ঘাঁটিটির ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করা সম্ভব। তিনি বলেন, “আমরা আগে থেকে মেরামতের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম।” ব্যাকআপ সিস্টেমের মাধ্যমে ঘাঁটির কার্যক্রম এখনও চলছে বলে তিনি দাবি করেন।
হ্যাগারি বলেন, এরকম একটি স্পর্শকাতর ঘাঁটিতে হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর জন্য শনিবারের হামলা কীভাবে সম্ভব হলো তার তদন্ত শুরু হয়েছে। হিজবুল্লাহ শনিবারই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, সালেহ আল-আরুরিকে হত্যার ‘প্রাথমিক জবাব’ হিসেবে ইসরাইলের ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় মেরন ঘাঁটিতে বিভিন্ন ধরনের ৬২টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।