হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-অরৌরিকে হত্যার প্রাথমিক প্রতিশোধ হিসাবে ইসরায়েলের একটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। শনিবার ইসরায়েলের ওই ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৬০টিরও বেশি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা দশ মিনিটে তারা বিভিন্ন ধরনের ৬২টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ‘মিরন এয়ার স্যারভিলেন্স বেইজ’-এ হামলা চালিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং নিশ্চিতভাবে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, আজ সকালে হিজবুল্লাহ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লে ইসরাইলের পক্ষ থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ের সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হয়।
এ সময় ইসরাইলের উত্তর সীমান্ত এলাকার কয়েকটি ইহুদিবসতি এবং গোলান মালভূমিকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে তাদের দখলকৃত উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তবে তারা দাবি করেছে, যেখান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে সেই স্থান লক্ষ্য করে তারাও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলা ও পাল্টা হামলার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। অক্টোবরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এতে অংশ নেয় হিজবুল্লাহও। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়ানোর বদলে প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত হামলা চালিয়ে আসছে তারা। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের এ হামলা-পাল্টা হামলা সীমান্ত এলাকাগুলোতে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারান হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-অরৌরি। প্রথমে বলা হয়েছিল, তিনি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে জানা যায় অরৌরি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সালেহ ছাড়াও হামাসের আরও দুই কমান্ডারসহ মোট সাতজন প্রাণ হারান। এরপরই হিজবুল্লাহ হুমকি দেয় তারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে শাস্তি দেবে।
সেই কথা অনুযায়ী আজ শনিবার সামরিক ঘাঁট লক্ষ্য করে ৬০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিতে সমর্থ হয়েছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। সূত্র: আলজাজিরা