ইরানের কেরমানে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে দেশটি। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি এবং প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শত্রুদের সমুচিত জবাব ও প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বুধবার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এক বার্তায় বলেছেন, ‘অপরাধীরা কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির সমাধিতে যাওয়া জনগণের মাঝে যে ভালবাসা এবং উদ্দীপনা দেখেছে, সেটা সহ্য করতে পারে নি’।
খামেনেয়ি আরও বলেন, ‘সোলাইমানির আদর্শের সেনারা শত্রুদের ওই জঘন্য অপরাধ সহ্য করবে না। নিরপরাধ মানুষদের রক্তে রঞ্জিত তাদের হাত। এখন থেকে তারা কঠোর দমন ও ন্যায়বিচারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু হবে। তারা জেনে রাখুক, আল্লাহ চাইলে এই বিপর্যয়ের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’
আরেক বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে এই কাপুরুষোচিত হামলায় জড়িতদের আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করবে।’
কেরমানে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
এছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইরানের কেরমান শহরের হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছে। ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদের পলিটিক্যাল ব্যুরো কেরমানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে তার সমাধির কাছে সমবেত হয়েছিল তার ভক্ত-সমর্থক ইরানিরা। সেসময় ১০ মিনিটের বিরতিতে পর পর দু’টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়ে এখন পর্যন্ত ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ২১১ জন।