ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবার ইংরেজি নতুন বর্ষ উদযাপনের সব অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানে। নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশে দেশবাসীকে এ অনুষ্ঠান উদযাপন না করা আহ্বান জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। তিনি বৃহস্পতিবার ঘাষণা করেন যে, ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইলের নৃশংসতা মোকাবিলা করছেন ফিলিস্তিনিরা। তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানজুড়ে নতুন বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে আরও একবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে ফিলিস্তিনিদের নিপীড়নের বিষয়টি জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে তুলে ধরলো পাকিস্তান। তারা ইসরাইলের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছে। এরই মধ্যে ইসরাইলের উন্মত্ততায় ফিলিস্তিনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ হাজার সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী কাকার। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে পাকিস্তানিরা বেদনাবোধ করছে। পরিস্থিতি হৃদয়ে ধারণ করে নতুন বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
ফিলিস্তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি সব পাকিস্তানির প্রতি। উল্লেখ্য, হামাসকে নির্মূল করার নামে অবিরাম সাধারণ গাজাবাসীর ওপর বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তাতে মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিশ্চিহ্ন হচ্ছে ঘরবাড়ি। মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এই যুদ্ধ এরই মধ্যে কমপক্ষে ১২ সপ্তাহ ধরে চলছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা হামাসকে মুছে দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে।
গাজায় যে ধ্বংসলীলা চলছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ প্রমুখ।