বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৮ কোটি জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে উপেক্ষা করে বিরোধী দল ছাড়া একদলীয় নির্বাচন ঘিরে আতঙ্কে ভুগছে সরকার। তাদের দুশ্চিন্তা এখনো কাটেনি। কিছুদিন ধরে তারা ওয়ান ইলেভেনের আতঙ্কের কথা বলছেন। তাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ নয়, প্রতিবেশী দেশটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনহীন অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কেন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর’ সম্পর্কের কথা বলে তা দলটির নেতা-মন্ত্রীর বক্তব্যের পর জনগণের অনুধাবন করতে বাকি নেই। তবে পরগাছা, পরজীবী, পরনির্ভর হয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। বাংলাদেশে ভারত আরেকটি ওয়ান ইলেভেন ঠেকালেও ১৮ কোটি জনগণের রুদ্ররোষ থেকে আওয়ামী লীগ রেহাই পাবে না। সরকারের পতন অনিবার্য।
বুধবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেনে, সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পিটার হাস ভারতে গেছেন; কিন্তু বাংলাদেশে আর ওয়ান ইলেভেন ঘটাতে সমর্থন দেবে না ভারত’। তার এ কথায় প্রমাণ হয় যে, ডালমে কুচ কালা হায়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনা নিয়ন্ত্রিত অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করেছিল সেই ওয়ান ইলেভেনের মাস্টারমাইন্ড তাহলে কারা তা ওবায়দুল কাদের প্রকাশ করলেন। ওয়ান ইলেভেন থেকে উত্তরণ, অতঃপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রশ্নবিদ্ধ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর কাহিনি তৎকালীন ভারতের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির লেখা বই ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’ গ্রন্থে বিবৃত করেছেন। সেই সময় ভারতের স্বনামধন্য সাংবাদিক ও কৌশল বিশ্লেষক কেপি নায়ারের বিশ্লেষণধর্মী এক লেখায় তুলে ধরা হয় কিভাবে প্রণব মুখার্জী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার পথ মসৃণ করে দেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারো ৭ জানুয়ারির দলহীন নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রতিবেশী দেশটির ভূমিকা উদ্বেগজনক।