তালেবানের মতো হামাসও বিজয়ী হবে: আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন। তালেবান যেভাবে বিশ্ব পরাশক্তিদের পরাজিত করে আফগানিস্তানে বিজয় অর্জন করেছে, তেমনি ফিলিস্তিনিরাও লক্ষ্যে অটল থাকলে যুদ্ধে জয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাওলানা ইয়াকুব মুজাহিদ।
বিশ্ব বিখ্যাত আলেমদের একটি প্রতিনিধি দলে আফগান সফরে গেলে তাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি একথা বলেন। হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আস সানির বার্তা নিয়ে তালেবান নেতাদের সাথে সাক্ষাত করতে যান আলেমদের প্রতিনিধি দলটি। আলেমদের সাথে বৈঠকে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের পুত্র মাওলানা ইয়াকুব মুজাহিদ বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়ার মুজাহিদিনরা যেভাবে বিশ্বের বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে সফলতা অর্জন করেছে, একইভাবে ফিলিস্তিনিরাও লক্ষ্যে অটল থাকলে যুদ্ধে জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি ফিলিস্তিনি শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন৷ দখলকৃত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জায় ভয়াবহ বোমা হামলার জন্য ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানান। আলেমদের সাথে বৈঠকে আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দীন হক্কানী বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের বেদনা অনুভব করি। আমরা মুসলমানরা অবৈধ দখলদারদের জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। তবে আশা করছি ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতিরোধের ফলে পবিত্র ভূমি অচিরেই দখলমুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভাইদের সহযোগিতা করতে পারা হবে আমাদের জন্য সম্মানের। আল্লাহর সাহায্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অনায়াসেই এই যুদ্ধে জেতা সম্ভব। বৈঠকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমির খান মুত্তাকি জিহাদের পথ বেছে নেওয়ায় ও এতে অটল থাকায় ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং শহীদের মাগফেরাত কামনা করেন। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ফিলিস্তিনে চলমান সংকটময় পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনিদের শাহাদাত বরণ, দেশত্যাগ এবং আত্মত্যাগ আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে।
এই ত্যাগ সাফল্যের সূচনা মাত্র। তাই ফিলিস্তিনি ভাইদেরকে ধৈর্য ধরে লক্ষ্যে অটল থাকতে হবে। তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারদের এমন একটি প্রতিনিধি দল আফগানিস্তান সফরে যান। বিশ্ব বিখ্যাত আলেম শায়েখ ইউসুফ আল কারজাভী প্রতিষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের প্রখ্যাত আলেমদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ মুসলিম স্কলারস-এর তত্ত্বাবধানে আলেমদের এই সফরটি অনুষ্ঠিত হয়।