নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান বলেছেন, বহির্বিশ্বের নজর আছে, তাদেরকে দেখাতে চাই একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে স্বচ্ছ, সুন্দর, উৎসবমুখর পরিবেশে, শতভাগ সততার সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। সেজন্যই আমাদের এবার জিরো টলারেন্স। একটাও জাল ভোট হবে না।
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে না বলতে পারে যে আমার ভোট তো দেয়া হয়ে গেছে। যদি এমন কোন কেস পাওয়া যায় তবে প্রিজাইডিং অফিসারসহ ওই টিমকে তাৎক্ষনিক সাসপেন্ড করা হবে এবং পরবর্তীতে তাদেরকে চাকরীচ্যুত করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। সততা স্বচ্ছতা সুন্দর পরিবেশের জন্য জিরো টলারেন্স।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, সকলের সহযোগিতায় পৃথিবীর কাছে, দেশের আপামর ভোটারদের কাছে এবং নিজেদের বিবেকের কাছে যেন প্রমাণ করতে পারি এমন সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি। এই নির্বাচন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং অংশগ্রহণকারীদের কাছে অনুকরণীয়, অনুসরণীয় এবং পাথেয় হয়ে থাকবে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, পটুয়াখালী-২ আসনের সাংসদ সাবেক চিফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ এস.এম. শাহাজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ অধ্যক্ষ মহিববুর রহমান সহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গন উপস্থিত ছিলেন।