জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নির্বাচনী পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।এ নিয়ে পটুয়াখালীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচনী পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত আওয়ামী লীগ সমর্থিত জোটভুক্ত প্রার্থী।’
রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসনে জোটের প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে সমঝোতা হলে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে পোস্টারে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহারের বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন, সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগ এই আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি। সমঝোতাকে আওয়ামী লীগের সমর্থন মনে করার কারণ নেই।
যুবলীগ নেতা জুয়েল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘বিরোধীদল, তারা কিভাবে আমাদের নেত্রীর ছবি ব্যবহার করে সেটা আমার বোধগম্য নয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় জাতীয় পার্টির অধঃপতন হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের ছোট ভাই জেলা জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম কামাল হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘লাঙল প্রতীকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকতে পারে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাঙল প্রতীক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নয়। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ যারা বলে তারা আওয়ামী লীগের লোক নয়। আওয়ামী লীগের লোক যারা তাদের স্লোগান জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আফজাল হোসেন। আর রুহুল আমিন হাওলাদারের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। আজ শুক্রবার সকালে গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সফরের দ্বিতীয় দিন তিনি আজ সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা করবেন লাভরভ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা পৌঁছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। বিমানবন্দরে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এর পর রাতে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। মোমেন-লাভরভের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো উঠে আসে।
গত বছরের এপ্রিলে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে সের্গেই ল্যাভরভ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। সে সময় থেকেই তার বাংলাদেশ সফর নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে রাশিয়া। ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাস নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক পর্যায়ে এ সফর নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।