দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, সোমবার সকালে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরপর দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমেরিকা আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল উত্তর কোরিয়ার ওপর। তা সত্ত্বেও গত এক বছরে একের পর এক ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে কিমের দেশ।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর কোরিয়া পরপর দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে।
এর মধ্যে একটি মিসাইল দূরপাল্লার বলে মনে করা হচ্ছে। দুটি মিসাইলই সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া একত্রে উত্তর কোরিয়াকে জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করলে কিমের দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হবে। এর প্রেক্ষিতেই এদিন পরপর দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল তারা পরীক্ষা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার তরফে এখনো এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এদিন জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, মিসাইলটি হোক্কাইডোর কাছে সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে। উত্তর কোরিয়া থেকে মিসাইলটি ছোড়ার এক ঘণ্টা পর গিয়ে সেটি পানিতে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা জানিয়েছে, মিসাইলটি এক হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে।
একটি উঁচু জায়গা থেকে মিসাইলটি ছোড়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আশপাশের দেশে যাতে কোনোভাবেই মিসাইলটি আঘাত না করে, সে জন্য উঁচু প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা। এদিকে জাপানের বক্তব্য, যে মিসাইলটি ছোড়া হয়েছে, তা আমেরিকা পর্যন্ত যেতে পারে। অর্থাৎ এই মিসাইলটি ১৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে বলে মনে করছে জাপান। পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরে মিসাইলগুলো তৈরি হয় এবং সেখান থেকেই এগুলো ছোড়া হয় বলে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।