ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা ভান্ডার ফুরাবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ। দেশটিকে দেওয়ার মত আর কোন অর্থ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। কংগ্রেস নতুন অর্থায়নে সম্মতি না দিলে যুদ্ধে জিতে যেতে পারেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন ।
সোমবার হোয়াইট হাউস এই সতর্কতা জারি করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাজেট ডিরেক্টর শালান্দা ইয়ং রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসনের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা শেষ হয়ে গেলে কিয়েভের লড়াই স্থবির হয়ে পড়বে। এএফপি।
চলতি বছরের অক্টোবরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের একটি প্যাকেজ উত্থাপন করেছিল ক্ষমতাসীন প্রেসেিডন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এই প্যাকেজটিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের জন্য সামরিক সহায়তা অন্তভুর্ক্ত ছিল। তবে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী রিপাবলিকানরা সেসময় প্যাকেজটি আটকে দিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউস জানায়, ”সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। আমাদের হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থও আর নেই। কংগ্রেস যদি প্যাকেজ অনুমোদন না করে, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করা যাবে না। আর এতে লাভবান হবে রাশিয়া”।
চিঠিতে শালান্দা ইয়ং লিখেছেন, ”আমাদের হাতে কোনও জাদুর ঘড়া নেই, যা দিয়ে আমরা পরিস্থিতি সামলাতে পারি। আমাদের হাতে কোনও অর্থ নেই। আর আমাদের হাতে সময়ও নেই”। চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ”কংগ্রেস ওই প্যাকেজে অনুমোদন না করলে বছরের শেষে আমাদের হাতে কোনও অর্থ থাকবে না, যা দিয়ে আমরা ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র বা যন্ত্রপাতি কিনতে পারি। আর এই অস্ত্র ও সাহায্য না পেলে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করতে পারবে না। যুদ্ধ থেকে তারা যেটুকু লাভ করেছে, তাও নষ্ট হবে”।
হোয়াইট হাউসের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন হাউজ স্পিকার মাইক জনসন । তিনি বলেছেন, ”বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নিয়ে কোনও স্পষ্ট কৌশল নেই। এই বিরোধ মেটানোর পথ কী, মার্কিন করদাতার অর্থ দিয়ে যে সাহায্য করা হচ্ছে, তা খরচ করার পরিকল্পনা কোথায়, এর জন্য কে দায়বদ্ধ থাকবে? এ সবই হলো ন্যায্য প্রশ্ন”। তিনি আরও লিখেছেন, ”জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে যদি কোনও বাড়তি প্যাকেজ দিতে হয়, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে শুরু হওয়া দরকার”।