বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজকে সেখানে আমাদেরকে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কিন্তু আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই বিচলিত হয়ে পড়ি। আবার দেখা যাচ্ছে সেই হত্যা-খুন-জখম-ধর্ষণ। এগুলো এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে যে, আমাদেরকে সকল উৎপীড়িত করছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি যে, ইয়াং জেনারেশন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি যে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, অর্গানাইজেশনগুলো আছে তাদের কর্মীরা দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমে এসেছে।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা দুই বছর আগে দিয়েছি, যে সংস্কারের কথা কেউ বলেনি। সেই সংস্কারগুলো আজকে উঠে এসেছে। যার সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা মনে করি যে, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত, নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও রক্ষা করা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা এখন যেটা চাইছি, অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাইছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব দিয়েছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে যেটা আমরা বার বার করে বলেছি, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সমস্ত সংস্কারগুলো প্রয়োজন সেগুলো করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিকে যাবেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে যে- যত দেরি হবে তত বেশি আবার বাংলাদেশে পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করবার জন্য বিরুদ্ধ শক্তি-ফ্যাসিস্ট শক্তিরা আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করে দেবে এবং তারা শুধু নয় একই সঙ্গে যারা জঙ্গি মনোভাব পোষণ করে থাকে, যারা উগ্র মনোভাব পোষণ করে থাকে তারাও এই সুযোগগুলো নেয়ার চেষ্টা করবে।
বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা সবশেষে ওই পোস্টে বলেছেন, যত দ্রুত নির্বাচন হবে, যত দ্রুত জনগণের প্রতিনিধিরা সংসদে আসবে, সংসদে এসে একদিকে তারা দেশ পরিচালনা করবেন অন্যদিকে বাকি যে-সব প্রয়োজনীয় সংস্কার আছে, সেগুলো আমরা এক সঙ্গে করতে পারব।