ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিসরে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি পাল্টা প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, দখলদার ইসরাইলিদের যেন ডেনমার্কের গ্রিনল্যান্ডে পাঠানো হয়। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে।
গত রোববার সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, তিনি জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে অনুরোধ জানিয়েছেন, তার দেশে যেন গাজাবাসীকে আশ্রয় দেওয়া হয়। কারণ তিনি গাজাকে ‘পরিষ্কার’ করতে চান।
ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্কের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখল করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডেনমার্ককে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ বানাবেন তিনি। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাম্প গাজাবাসীকে সরাতে চান… আমার পরামর্শ অন্য কিছু। ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরানোর বদলে ইসরাইলিদের সরানোর চেষ্টা করুন। তাদের গ্রিনল্যান্ডে নিয়ে যান, যেন তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে।’
এদিকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাজারবাসীদের মিসর ও জর্ডানে স্থানান্তরের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলেছেন: ‘জর্ডান জর্ডানবাসীর, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিবাসীদের এবং ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধান ফিলিস্তিনের মাধ্যমেই হতে হবে।’
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে, মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি ইস্যুর রাজনৈতিক নিষ্পত্তির প্রতি কায়রোর জোরালো সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেছে: আমরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে তার আসল মালিকদের স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে নিজের ভূমি ছেড়ে অন্যত্র যেতে উৎসাহি বা বাধ্য করার বিরোধিতা করি।
