সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকা বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান। বিভিন্ন হামলা ও সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত চার রেঞ্জার্স সদস্য এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১০০ বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থা গুরুতর।
বুশরা বিবির নেতৃত্বে গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ইমরান সমর্থকদের আন্দোলন। গোটা দেশ থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন দলীয় সমর্থকরা। ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে জড়ো হন হাজারো বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভ ঠেকাতে একদিন আগে থেকেই ইসলামাবাদের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুইমাসের জন্য ইসলামাবাদে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপিরচিন্ময়কে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির
নিরাপত্তাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টান গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে। কিন্তু বিশাল এই বিক্ষোভকারীদের দমিয়ে রাখা কার্যত কঠিন হয়ে পড়েছে। সংঘর্ষ এবং ব্লকেডের মধ্যেও পিটিআই সমর্থকেরা ইসলামাবাদে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন।
নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগর মহাসড়কে কিছু দুষ্কৃতকারী কিছু দুর্বৃত্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে চারজন রেঞ্জার্স সদস্য নিহত এবং আরও পাঁচজন রেঞ্জার্স সদস্য ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৫ ধারায় নাগরিক প্রশাসনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সূত্র মোতাবেক জানা গেছে, সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ‘শুট অ্যাট সাইট’-এর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পিটিআইয়ের পাঁচ পার্লামেন্ট সদস্যসহ প্রায় চার হাজার জনকে। ইসলামাবাদের বেশিরভাগ প্রধান সড়ক শিপিং কনটেইনার দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, পুলিশের বিশাল বাহিনী এবং আধাসামরিক সদস্যদের দাঙ্গা প্রতিরোধী সরঞ্জামসহ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে মিছিল পার্লামেন্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে।
বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা। বাতিল হয়েছে ইসলামাবাদের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট।