সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে মাদ্রিদ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে গোল করেছিলেন ডানিয়েল মালেন এবং জেমি গিটেনস। তখন মনে হচ্ছিল যে, ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে একদম ভিন্ন এক মাদ্রিদকে দেখা যায়। কার্লো আনচেলত্তির দল মাঠে নেমেছিল নতুন উদ্যম নিয়ে। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। প্রথমে আন্তোনিও রুডিগারের গোল মাদ্রিদকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে, এরপর ভিনিসিউসের গোলে সমতা ফেরায় মাদ্রিদ। লুকাস ভাসকেজের গোল মাদ্রিদকে এগিয়ে নেয়, আর এরপর ভিনিসিউস আরও দুইটি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেন, “ভিনিসিউসের মতো দ্বিতীয়ার্ধে এভাবে খেলা খেলোয়াড়ের সংখ্যা কম। সে দারুণ চরিত্র ও প্রচণ্ড উদ্যমের সঙ্গে খেলেছে।” আনচেলত্তি আরও বলেন, “আমি মনে করি ভিনিসিউস ব্যালন ডি’অর জিতবে, তবে আজকের রাতের কারণে নয়, বরং গত মৌসুমের পারফরম্যান্সের জন্য। তবে এই তিনটি গোল তাকে ভবিষ্যতে আরেকটি ব্যালন ডি’অর জিততে সাহায্য করবে।”
ভিনিসিয়াস নিজেও ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন, “আমরা নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখি। আমরা জানতাম যে আমাদের সমর্থকদের সামনে কিছু অসম্ভব নয়। প্রথম গোলটি পাওয়ার পর আমরা নিশ্চিত জানতাম, আমরা ফিরে আসবো।’
এই জয়ের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদ দারুণ আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে চলে গেছে এবং তাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার বিপক্ষে লড়াই।