ইরানের পারমাণবিক বোমার সফল পরীক্ষার খবর এবং ভয়ংকর গোপন অস্ত্রের তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর আতঙ্কিত নেতানিয়াহু দ্রুত গতিতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, ফলে পাল্টে গেছে ইসরায়েলের রণকৌশল। মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ইরানের অস্ত্রের খবর কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।
তেহরানের পারমাণবিক বোমার সফল পরীক্ষার খবর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ইসরায়েলের জন্য বিপদের সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এসব প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা হয়নি, তবুও এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জরুরিভিত্তিতে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই খবর আসে যখন ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে বাকবিতণ্ডা এবং আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের যুদ্ধে জড়িত। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র থেকে এসেছে, যা ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ইরান শুরু থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের উদ্দেশ্য অস্বীকার করে আসছে, তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অসমর্থিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ইরান তার পারমাণবিক সক্ষমতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকে পৌঁছে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রয়োজন হতে পারে। সম্ভাব্য পারমাণবিক বোমার পরীক্ষার খবর তেলআবিবকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য করেছে। তেলআবিবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে তারা লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইরাক ও সিরিয়ার শিয়া মিলিশিয়াদের ওপর হামলা শিথিল করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
অন্যদিকে, ইরানের ৩৯ জন আইনপ্রণেতা দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে পাঠানো চিঠিতে বলেছেন, ইসরায়েলি হুমকি মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা যুক্তি দিয়েছেন যে, ইরানের “প্রতিরক্ষা মতবাদের পুনর্মূল্যায়ন” প্রয়োজন।