জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আকমল হোসেন আজাদসহ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের অপসারণ এবং শাস্তির দাবিতে ঘোষণা করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আগামীকাল রোববারের (০৬ অক্টোবর) অবস্থান কর্মসূচি সায়িকভাবে স্থগিত করেছে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হলেও ৫ দফা দাবিতে অনঢ় থাকার কথা জানিয়েছেন ফোরামের সমন্বয়ক এবিএম আব্দুস সাত্তার।
বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আকমল হোসেন আজাদসহ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার প্রেক্ষিতে তাদের অপসারণের দাবিতে আগামী ০৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সকাল ০৯:০০ ঘটিকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’ ঘোষণা করা হয়েছিল।আমাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে তিন উপদেষ্টারসমন্বয়ে একটি ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছেন; সরকারের এই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ওই তদন্ত কমিটির উপর পূর্ণ আস্থা রেখে দায়ী কর্মকর্তাদের বর্তমান পদ থেকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় আগামী ০৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’ সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করছি।
‘আমরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি যে, জনপ্রশাসনের ঐতিহ্য ও সুনাম রক্ষার্থে কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি, অসদাচারণ এবং স্বেচ্ছাচারিতা কোনোভাবেই মেনে নেব না; এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অনড়। আমরা পুনরায় আমাদের কয়েকটি দাবি পুনঃব্যক্ত করছি।’কর্মচারীদের দেওয়া ৫ দফা দাবি হলো- ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং বর্তমান সরকার কর্তৃক কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল, ৫ আগস্টের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত সব সচিব, বিভাগীয় প্রধানকে অবিলম্বে প্রত্যাহার, সম্প্রতি নিয়োগকৃত ৪২ বিতর্কিত জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিটলিস্ট তৈরি করে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে।