মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কোনো কথা হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও কথা বলার সময় পাননি তিনি। তবে নির্বাচক প্যানেলের এক সদস্যের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে কথা বলতে চান ৩৮ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার। বিষয়টি নাজমুল হোসেন শান্তরও জানা আছে।
তাই হয়তো তিনি সংবাদ সম্মেলনে বললেন,মাহমুদউল্লাহর জন্য সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি দিলেন অধিনায়ক, তা হলো শিগগির নির্বাচক ও বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে চান সিনিয়র এ ক্রিকেটার। ফোনে ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনা সত্য। সিরিজ শেষে নিজের পরিকল্পনা জানাতে চান মাহমুদউল্লাহ। দেশে থাকাকালেই একজন নির্বাচককে এ রকম আভাস দিয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি সাকিব আল হাসানের মতো তিনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার প্লট সাজাচ্ছেন?
টি২০ ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে থাকলে ওয়ানডে ক্যারিয়ার টেনে নিতে পারেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। ক্রিকেটার ও নির্বাচকদের মধ্যে এ রকম আলোচনা থাকলেও মাহমুদউল্লাহ নিজে কিছু বলেননি। বলার প্রয়োজন হয়নি জাতীয় দলে বিকল্প না থাকায়। আসলে এত বছরে মাহমুদউল্লাহর বিকল্প তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি।
২০২২ সালের টি২০ বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভাবনায়ও ছিলেন না তিনি। আফিফ হোসেন, শামীম পাটোয়ারি ছন্দে থাকলে ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে নির্বাচকরা বিবেচনা করতেন না। তরুণরা ফেল করায় মাহমুদউল্লাহর কপাল খুলে যায়। ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে জাতীয় দলে টিকে থাকার দাবি জোরালো করেন তিনি। ২০২৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপেও খেলেছেন। ছন্দে থাকলে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ নির্বাচকরা মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারে ইতিবাচক।
নাজমুল হোসেন শান্তর কথা অনুযায়ী মাহমুদউল্লাহ হয়তো নির্বাচকদের অতটা সময় দেবেন না। অধিনায়ক বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝতে পারি, রিয়াদ ভাইর জন্য এই সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি হয়তো নির্বাচকদের সঙ্গে কথাও বলবেন। এ বিষয়ে আমি খুব একটা পরিষ্কার না। তবে আমার মনে হয়, অবশ্যই নির্বাচক ও বোর্ডের সঙ্গে একটা আলোচনা হবে।’
মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও টি২০ ও ওয়ানডে দলে লড়াই করে টিকে আছেন। বোঝাই যায়, একজন কার্যকর মিডল অর্ডার ব্যাটার খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন নির্বাচকরা। বিসিবিও ভালো মানের ব্যাটার তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল আফিফ বা শামীমকে মিডল অর্ডারে সেট করতে পারেনি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ধরে রাখতে পারেননি পরিকল্পনার অভাবে। যদিও এ ব্যাপারে আপাতত কেউই কথা বলতে চান না। ভারতের বিপক্ষে সিরিজটি শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান তারা। দেখতে চান মাহমুদউল্লাহ কেমন খেলেন।