সাম্প্রতিক ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রভাব সম্পর্কে যেকোনো তথ্য প্রকাশে সেন্সর (নিষেধাজ্ঞা) আরোপ করেছে দখলদার ইসরাইলে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা জনসাধারণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সেন্সরশিপের কারণে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দখলদার ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এসময় বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র রাজধানী তেল আবিবসহ ইসরাইলের একাধিক এলাকায় আঘাত হানে।
ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা শুরুর পর ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অনেকগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এরপরই ইসরাইল বেশ কয়েকটি সামরিক অঞ্চল বন্ধ করে দিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় আঘাত করেছে সে সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশে বাধা দিচ্ছে।
মঙ্গলবারের হামলা সম্পর্কে ইসরাইল দাবি করেছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করেছে, তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দখলকৃত অঞ্চলের ভেতরে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে এবং সেগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে।
ইরানের অভিযানের লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো ইসরাইলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটি যেখানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থাকে। এ বিমানঘাঁটিতে বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলছে, হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তেহরান।
সংস্থাটি দাবি করেছে, ইরান থেকে ছোঁড়া ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে অধিকৃত অঞ্চলে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
ইসরাইল যদি ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে তারা আরও নিষ্ঠুর হামলার সম্মুখীন হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে আইআরজিসি।