ব্যাটে বলে দারুণ একটা সিরিজ কাটিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করে সিরিজও জিতে নিয়েছে তারা। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে কিউই বাহিনী। প্রথম ম্যাচে ৬৩ রানের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইনিংস ও ১৫৪ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
টেস্টে এর আগে শ্রীলঙ্কা সবশেষ নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ২০০৯ সালে। এরপর আর সিরিজই জিততে পারেনি তারা। মাঝের ৬ সিরিজের মধ্যে নিউজিল্যান্ড জিতে ৪টিতে, ড্র হয় ২টি। মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ৪০ টেস্টের মধ্যে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১১, নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১৮টিতে। ড্র ১১টি।
প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে অলআউট হওয়া নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ব্যবধানে হার প্রত্যাশিতই ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে শনিবার ৭৮ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত ছিলেন টম ব্লান্ডেল ও গ্লেন ফিলিপস। ৪৭ রান নিয়ে প্রথমজন ও ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ফিলিপস। ব্লান্ডেন চতুর্থ দিন আর ১৩ রান যোগ করেই আউট হন, ফিলিপসও বেশি দূর যেতে পারেনি। ৯৯ বলে ৭৮ রান করেন তিনি। দুজনই নিশান পেইরিসের শিকার হন।
এরপর মিচেল স্যান্টনার বড় ইনিংস খেলেন। তার ৬৭ রানে কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে। আজাজ প্যাটেল করেন ২২ রান। ৩৬০ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। ৬ উইকেট পূর্ণ করেন পেইরিস। প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৩টি ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা নেন ১ উইকেট।
এর আগে শ্রীলঙ্কা একমাত্র ইনিংসে ৫ উইকেটে ৬০২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। চান্দিমালের পর কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশাল মেন্ডিসও সেঞ্চুরি তুলে নেন। চান্দিমাল ১১৬, কামিন্দু ১৮২ ও কুশাল ১০৬ রান করে। জবাবে ৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মিচেল স্যান্টনার। শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৬টি ও নিশান পেইরিস ৩টি উইকেট পান। আসিথা ফার্নান্দো নেন ১ উইকেট।