ইরানের সমর্থনপুষ্ট লেবাননের প্রতিরোধ বাহিনী হিজবুল্লাহ দখলদার ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ১ হাজারেরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
মিডিয়া চ্যানেল 13 কে উদ্ধৃত করে আল মায়াদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে অনায়াসেই আঘাত করছে, কারণ ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম এবং তাদের যুদ্ধবিমান সেগুলোকে ঠেকাতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। এতে করে হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষার জন্য “প্রধান এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ” তৈরি করছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল 13 রিপোর্ট করেছে। এতে উল্লেখ করা হয় যে, হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো অপ্রতিরোধ্য, হায়েনা সেনাদের ঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম এবং ইসরায়েলের যে আয়রন ডোম সিস্টেমকে সেরা প্রযুক্তি দাবি করা হয়েছিল, তা হিজবুল্লাহর ড্রোনকে ঠেকাতে বা ধ্বংস করতে নিতান্তই ব্যর্থ হচ্ছে।
আল মায়াদিনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর ইসরায়েলি-অধিকৃত অঞ্চলে এক হাজারেরও বেশি ড্রোন ছোঁড়া হয়েছে, যার বেশিরভাগই ছোঁড়া হয় লেবানন ভূখণ্ড থেকে। বর্বর হায়েনাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এসব ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ। একই প্রসঙ্গে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর উত্তর কমান্ডের সাবেক কমান্ডার, ইয়োসি পেলেড, ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টারকে বলেছেন যে, উত্তর ফ্রন্টের পরিস্থিতি হিজবুল্লাহর জন্য একটি “উল্লেখযোগ্য কৌশলগত বিজয়”।
ফিলিস্তিনের সমর্থনে হিজবুল্লাহর সামরিক অভিযানের ফলে উত্তরে অবস্থিত অবৈধ উপনিবেশগুলোর দশ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হয়েছে, এবং প্রতিদিনই সামরিক সাইটগুলোতে সরাসরি হামলা হচ্ছে। হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের অনেক কৌশল, বিশেষত হিজবুল্লাহর মানববিহীন বিমান বাহিনী, ইসরায়েল দ্বারা প্রতিহত করা যাচ্ছে না—বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েলি মিডিয়া।