স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে দেশত্যাগ করার কিছুদিন না যেতেই খোলস পালটানো শুরু করল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যেমনটি লক্ষ্য করা যায় মহাখালী যুবলীগ নেতা আনিস রহমানের ক্ষেত্রে। যুবলীগ নেতা আনিস মহাখালী ওয়্যালেসগেটের জ ব্লকের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রমতে, আনিস রহমান অতীতে বনানী থানা যুবলীগ নেতা ইউসুফ সরদার সোহেলের কর্মী বলে পরিচিত ছিল। এই যুবলীগ নেতার নাম বিক্রি করে আনিস চাঁদাবাজি করত বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগের বিভিন্ন সমাবেশে আনিসের সরব উপস্থিতি ছিল। তাছাড়া মহাখালী এলাকার বাসিন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা যায়, সদ্যসমাপ্ত ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আনিস হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী আহত হয়। অপরদিকে আনিস রহমানের বাবা আজিজ রহমান ছিলেন ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামি লীগ কাউন্সিলর জনাব নাসিরের সহযোগী। স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মে বাবা-ছেলের সম্মিলিত উপস্থিতি মহাখালী এলাকার বাসিন্দাদের জীবন নাজেহাল করে তোলে। এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা আনিস রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে ৫ই আগস্টের পর থেকে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, আওয়ামি লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আনিস বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন । এর ফলে বিএনপির দুঃসময়ের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ২০ নং ওয়ার্ডের এক বিএনপি কর্মী জানান, বর্তমানে প্রভাবশালী বাবা-ছেলের ভয়ে সাধারণ বিএনপি’র কর্মীরা মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, “যখন বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ভয়ে দিশেহারা তখন আনিস বনানী থানা যুবলীগের নেতার জন্মদিন পালন করেছিলেন , কিন্তু এখন তিনি বিএনপি পদপ্রত্যাশী।
তিনি আরও বলেন ,বিএনপি’র উপরিমহলের কাছে দাবি আনিসের মত সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারীদের জন্য যেন দুঃসময়ের সৎ ও ত্যাগী কর্মীরা বঞ্চিত না হয় । স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, সাধারণ ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা সোনার বাংলায় আওয়ামি লীগ নেতাকর্মীরা যেন বিএনপি রূপে ফিরে না আসে সেই সেদিকে যেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সজাগ দৃষ্টি থাকে।