পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো করেছেন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। টাইগারদের ভালো শুরুর পথে প্রথমে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আলোকস্বল্পতা। চা বিরতির পর কেবল ১ ওভার গড়িয়ে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তার কিছুপর নেমেছে বৃষ্টিও। ফলে দিনের খেলারই সমাপ্তি টেনে দেয়া হয়েছে। জাকির-সাদমানে নির্ভার বাংলাদেশ পঞ্চম দিনে ১৪৩ রানের লক্ষ্যে নামবে।
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই টেস্টের প্রথমটিতে ১০ উইকেটে জয় পেয়ে সিরিজে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টিতে টসে হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাটে নামা স্বাগতিকদের ২৭৪ রানে আটকে দেয় শান্ত বাহিনী। জবাবে লিটনের সেঞ্চুরি ও মিরাজের ফিফটিতে ২৬২ রান তোলে বাংলাদেশ। ১২ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ১৭২ রানে থামে পাকিস্তান। ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৭ ওভারে ৪২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জাকির হাসান ২৩ বলে ৩১ রান এবং সাদমান ইসলাম ১৯ বলে ৯ রানে শেষ দিন ব্যাটে নামবেন।
রানতাড়ায় নেমে শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করেছেন জাকির হাসান। অন্যপ্রান্তে সাদমান অবশ্য টেস্ট মেজাজে ব্যাট করছেন। চা বিরতির আগে ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৭ রান তোলেন দুজনে। বিরতির পর নেমে এক ওভার খেলা গড়ায়। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় আলোকস্বল্পতা দেখা দেয়। পরে খেলা বন্ধ করে পিচ ঢেকে দেয়া হয়। বৃষ্টিও নামে কিছুক্ষণ পর। দিনের খেলা সমাপ্ত করে দিতে হয় ম্যাচ অফিসিয়ালদের।
এর আগে চতুর্থ দিনে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য পেতে শুরুতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙার পর মিলেছে একের পর এক সাফল্য। দিনের শুরুতে থিতু হয়ে যাওয়া ওপেনার সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
সেটির পরপরই শান মাসুদকে ফেরান নাহিদ রানা। দলীয় ফিফটি পেরোতেই আঘাত হানেন নাহিদ। শান মাসুদ আউট হওয়ার আগে করে যান ২৮ রান। বেশি সময় টিকে থাকতে পারেননি বাবর আজমও। ১১ রান করে তারকা ব্যাটার ক্যাচ দেন সাদমান ইসলামের হাতে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রানের সময় পঞ্চম ও ৮১ রানের সময় ষষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিক দল।
লাঞ্চ বিরতির পর আরেকটি সাফল্য আসে হাসান মাহমুদের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হলে। লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭৩ বলে ৪৩ রান করে ফিরে যান রিজওয়ান।
রিজওয়ানের পরের বলে মোহাম্মদ আলীকেও আউট করেন হাসান। স্লিপে ক্যাচ নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। হাসান দুই উইকেট নিয়েছেন ওই ওভারের শেষ দুই বলে। পরের ওভারের প্রথম বলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে কেবল অলক কাপালি ও সোহাগ গাজীর হ্যাটট্রিকের রেকর্ড রয়েছে।
বাংলাদেশের হয়ে ৪৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন হাসান। ৪৪ রান দিয়ে আরেক পেসার নাহিদ নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাসকিন নিয়েছেন এক উইকেট।