দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পুনর্গঠনে অবশেষে নিজেদের সিদ্ধান্তের একটা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এনএসসি সচিব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বিসিবির নতুন পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনের নিয়োগের বৈধতার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিবির গঠনতন্ত্রের ৯.৩.২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এনএসসি মনোনীত আগের ৫ জন প্রতিনিধির মধ্যে জালাল ইউনুস ১৯ আগস্ট পদত্যাগ করলে তাঁর শূন্য পদে নাজমূল আবেদীনকে মনোনয়ন দিয়েছে এনএসসি। এর আগে জালাল ইউনুস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এনএসসি থেকে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এনএসসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালক ক্যাটাগরিতে আগের মনোনয়ন পরিবর্তন করে ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে জালাল ইউনুসের সঙ্গে বিসিবিতে থাকা এনএসসি মনোনীত আরেক পরিচালক সাজ্জাদুল আলমকে বাদ দেওয়ার সরাসরি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এনএসসি।
এমনকি সাজ্জাদুল আলম যে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এনএসসির সিদ্ধান্তে তিনি ‘স্তম্ভিত’, এ সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে একে বিসিবির কাজে ‘সরকারি হস্তক্ষেপ’ বলেও অভিযোগ করেছেন; এসব বিষয়েও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বলা হয়েছে, ‘এরূপ মনোনয়ন ‘ফিলোসফি অফ জুরিসপ্রুডেন্স’–এর ভিত্তিতে প্রচলিত বিধিবিধানের সর্বোচ্চ সতর্ক প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে।’
কিন্তু ‘ফিলোসফি অফ জুরিসপ্রুডেন্স’ কী এবং কীভাবে এই সিদ্ধান্তে এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ হলো, সেটি নিয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে এনএসসির আইন কর্মকর্তা কবিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ছুটিতে থাকায় তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।
যোগাযোগ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেছেন, ‘ফিলোসফি অফ জুরিসপ্রুডেন্স’ সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা নেই। তবে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্টের বিধান অনুসারে, যদি কোনো কর্তৃপক্ষের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা থাকে, তাহলে তারা সে মনোনয়ন প্রত্যাহারও করতে পারে। এনএসসির উচিত ছিল বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করা।’