বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে হওয়া গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই নিখোঁজ নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সরকার পতনের পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। এদিকে বিসিবি পুনর্গঠন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বেশ আলোচনা চলছে। যেখানে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সংস্থাটির অন্যতম পরিচালক জালাল ইউনুস।
আগামীকাল বুধবার বিসিবির বোর্ডসভা ডাকা হয়েছে। যদিও সেটি মিরপুরে তাদের কার্যালয়ে নয়, হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে। জানা যায়, এতেই নির্ধারিত হতে পারে বিসিবির ভবিষ্যৎ। এমনকি সভায় অনলাইনে যুক্ত থাকার কথা রয়েছে নাজমুল হাসান পাপনেরও। সেখানেই তিনি পদ ছাড়তে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পাপন পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দেখা যেতে পারে সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদকে। ইতোমধ্যেই তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বিসিবি সভাপতি হওয়ার ব্যাপারে অগ্রগতি স্বীকার করেছেন ফারুক আহমেদও। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় তাকে সভাপতি করা হবে, এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এমনিতে সাবেক অধিনায়ক হিসেবে বিসিবির কাউন্সিলর তিনি। তবে আপাতত তাকে এনএসসি থেকে বোর্ডের পরিচালক করা হতে পারে। এরপর দেওয়া হবে সভাপতির দায়িত্ব।
লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অভিভাবকের ভূমিকায় এককভাবেই ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র মেনে দুজন সহ-সভাপতি থাকার কথা থাকলেও নিজের মেয়াদে এই পদে কাউকেই নিয়োগ দেননি তিনি। রাজনৈতিক পালাবদলের পর পাপনের অনুপস্থিতিতে তাই ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা।