বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে গুলিতে নিহত সোনাগাজী ও দাগনভূঞার ৬ ছাত্রের পরিবারকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ জনির পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি এ অনুদান দেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নিহত সারোয়ার জাহান মাসুদের কবর জিয়ারত করেন এবং তার বাবার হাতে অনুদানের অর্থ প্রদান করেন।
পরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার নিহত ওয়াকিল আহমেদ শিহাব, সাইদুল ইসলাম, সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারী গ্রামের জাকির হোসেন শাকিব, চরচান্দিয়ার মাহমুদুল হাসানের কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় আবদুল লতিফ জনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তার দায় কোনোভাবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এড়াতে পারে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, ইয়াকুব নবী, আনোয়ার পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির নেতা বাহাদুর, এমদাদ হোসেন সাইফুল, মৎস্য ও পশুবিষয়ক সম্পাদক ও ফেনী জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- সোনাগাজী উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মাসুদ, রাসেল পাটোয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম জাবেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন সুমন ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিনসহ অনেকে।