গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি হয় নিয়মিতই। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছিল না অনেক দিন। সেই ২০১১ সালের মে মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান ম্যাচের পর কালই প্রথম সাদা পোশাকে খেলতে নেমেছে দুটি আন্তর্জাতিক দল।
গায়ানায় ১৩ বছর ৩ মাস বিরতির পর হওয়া ম্যাচের প্রথম দিনেই পড়েছে ১৭ উইকেট।
প্রথমে ব্যাট করে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ১৬০ রানে। এর পর দিনের বাকি অংশে খেলে ৯৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব মিলিয়ে ম্যাচের প্রথম দিনে উঠেছে ২৫৭ রান।
দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে হওয়া ৮২.২ ওভারের মধ্যে ৬৮ ওভারই করেছেন পেসাররা। ১৭ উইকেটের ১৫টিও তাঁদেরই। এর মধ্যে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সেরা শামার জোসেফ। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে হইচই ফেলে দেওয়া শামার গায়ানারই ছেলে। আর নিজের দেশের মাটিতে খেলা প্রথম টেস্টে শুরু থেকেই ছিলেন ছন্দে।

টসে জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করতেই হারায় ৩ উইকেট। দুটিই তুলে নেন শামার। তাঁর সঙ্গে উইকেট-শিকারে যোগ দেন জেইডেন সিলস আর জেসন হোল্ডারও। তিনজনের তোপে একটা পর্যায়ে ৯৭ রানে নবম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান দেড় শর ওপারে নিয়ে যান ডেন পিয়েড ও নান্দ্রে বার্গার। গুড়াকেশ মোতির বলে আউট হওয়ার আগে শেষ ব্যাটসম্যান বার্গার করেন ২৩ রান, দলের সর্বোচ্চ ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন পিয়েড।
পরে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। বার্গার বাঁহা উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক সময় স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৫৬ রান, ৬ উইকেটে! শেষ দিকে মোতিকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন হোল্ডার।

দিনের শেষ বেলায় মোতি কেশব মহারাজের বলে এলবিডব্লু হলে সেখানেই দিনের খেলা বন্ধ করা হয়। হোল্ডার অপরাজিত ৫১ বলে ৩৩ রানে। দু দলের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে এই একজনের রানই ত্রিশের ঘর পেরিয়েছে।
সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।