ADVERTISEMENT
Jago Today
No Result
View All Result
বৃহস্পতিবার, জুন ১৯, ২০২৫
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
Subscribe
Jago Today
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
No Result
View All Result
Jago Today
No Result
View All Result

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে কিছু মানুষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে

by নিজস্ব প্রতিবেদক, জাগো টুডে //
রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে কিছু মানুষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে
Share on FacebookShare on Twitter

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিছু বিচ্ছিন্ন হামলা হয়েছে। সেগুলো সুসংগঠিত (সিস্টেমেটিক) হামলা নয়। এসব হামলা চালিয়ে কিছু মানুষ চলমান পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে শনিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বা অন্য কোনো দেশে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় যখন কোনো পরিবর্তন আসে, কিছু মানুষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের প্রতিটি বিপ্লবে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা—তাঁরা হিন্দু বা মুসলমান যে ধর্মের হন না কেন, শিকারে পরিণত হন।’

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ‘অসাধারণ’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘(বাংলাদেশে) হয়তো (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর) বিচ্ছিন্ন কিছু হামলা হয়েছে। তবে সেগুলো কোনোভাবেই সুসংগঠিত (সিস্টেমেটিক) বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।’যেকোনো সময়ে বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। তবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন আয়োজনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো নির্বাচনব্যবস্থাই দূষিত হয়ে গেছে। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অবস্থায় নেই। নির্বাচনব্যবস্থায়ও সংস্কার আনতে হবে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার)।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতিতে সেনাবাহিনী কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী যে দেশের রক্ষক, সে বিষয়ে মানুষের বিশ্বাস রয়েছে। তাই আমার মনে হয় না তারা (সেনাবাহিনী) এমন কিছু করবে, যা দেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যায়।’শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে প্রেসিডেন্ট নিজেই বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। সেখানে কোনো জবরদস্তি বা এমন কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার বাসভবনের দিকে যাত্রা শুরু করেন, তখন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্প দিয়েছিল। একটি হলো থেকে যাওয়া এবং বিক্ষুব্ধ জনতার মুখোমুখি হওয়া। অপরটি হলো দেশ ছেড়ে যাওয়া। আর শেষ মুহূর্তে তিনি (শেখ হাসিনা) দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।’

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া হবে।প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের বিষয়ে মির্জা ফখরুল এনডিটিভিকে বলেন, তিনি (ওবায়দুল হাসান) শেখ হাসিনার সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, যে সরকার অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে তাঁকে (ওবায়দুল হাসান) পদত্যাগ করতে হয়েছে।

শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে চরমপন্থীদের সম্পৃক্ততা ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন কোনো কিছু ছিল না। জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াত চরমপন্থী দল নয়। তবে বাংলাদেশে চরমপন্থী কিছু গোষ্ঠী ছিল, সেগুলোর অস্তিত্ব এখন আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’ তিনি বলেনে, এই আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে ছাত্রদের নেতৃত্বে হয়েছে। তাদের অধিকাংশেই অতি প্রগতিশীল। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অনেকেই অসাধারণ মেধাবী। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’

Previous Post

বিসিবির পরিচালকেরা আত্মগোপনে, যেভাবে চলছে ক্রিকেট

Next Post

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে কতজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদর দপ্তরও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশের অনুপস্থিতিতে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। এখনো অনেক পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছে না। এ অবস্থায় পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম বলেন, চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাজ করছে। জানা গেছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হলে গত সোমবার সারা দেশে পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয়। ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা। হত্যা করা হয় অনেক পুলিশ সদস্যকে। মূলত এর পর থেকে পুলিশ সদস্যরা উধাও হয়ে যান। পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পালিয়ে রয়েছেন জানিয়ে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গত শুক্রবার রাজারবাগে ভুক্তভোগী মাঠ পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে নতুন আইজিপির বৈঠকের কথা ছিল দুপুরে। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে সেটা স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যায় অনেকটা। এক পর্যায়ে অনিয়ম দূর করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিচার চেয়ে ব্যাপক স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ সহকর্মীরা। সেখানে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য বলেন, বিক্ষোভের মুখেই নতুন আইজিপি ময়নুল ইসলাম এক পর্যায়ে রাজারবাগ ছেড়ে চলে যান। আইজিপির উপস্থিতিতেই স্লোগান ওঠে, ‘আমার ভাই মরল কেন জবাব চাই’, ‘পুলিশ হবে জনতার’। পুলিশ মহাপরিদর্শকের সামনেই ক্ষোভ দেখিয়ে সদস্যরা জানতে চান, কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রক্তপাত ও হতাহতের জন্য দায় কার। অধস্তন কর্মকর্তাদের কিভাবে ঊর্ধ্বতনরা ব্যবহার করেন! এসবের পাশাপাশি বাহিনীর অভ্যন্তরীণ নানা অসংগতি তুলে ধরেন তাঁরা। পুলিশ ‘হত্যা’র বিচার দাবি করে একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা চাই ব্যবস্থা, ব্যবস্থা, ব্যবস্থা।’ তাঁদের বক্তব্যের মধ্যেই মঞ্চের পেছনে বিশাল স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায় নিহত পুলিশের মরদেহ ও রক্তাক্ত ছবি। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের কাউকে কেন সরকারের উপদেষ্টা করা হলো না প্রশ্ন তুলে একজন বলেন, ‘অনিয়মের বিচার চাই।’ এ সময় আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাবের ডিজি এবং তাঁদের কয়েকজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছাড়া আর কারো পরনেই ইউনিফর্ম ছিল না। এটি নিয়েও কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা। একজন নারী পুলিশ সদস্য মঞ্চে উঠে বলেন, ‘আজ এখানে আইজিপি স্যারের সঙ্গে মিটিং করতে আমার যথাযথ ইউনিফর্ম ও র‌্যাক ব্যাজ পরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার কারণে এখন পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিতে পারছি না। এই অবস্থার উত্তরণ চাই আমরা।’ জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দায়ী করেন পুলিশের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও সদস্যরা। গত শুক্রবার ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে নতুন আইজিপি ময়নুল ইসলামের উপস্থিতিতে বৈঠকে জড়ো হওয়া পুলিশ সদস্যরা নানা অসংগতি তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে শেখ হাসিনার পতন ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বহু সদস্যকে হত্যার পর স্থবির হয়ে পড়া পুলিশকে সচল করার চেষ্টায় ঢাকার রাজারবাগে বৈঠকে দেখা গেল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। থানায় থানায় হামলা চালিয়ে হত্যার প্রেক্ষাপটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নিয়ে আছেন বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। পুলিশ সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে শুধুই লাশ আর পোড়া থানার ছবি আদান-প্রদান করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারাই। এ সময়ে পুলিশের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমনের উদ্যোগ হিসেবে সেখানে আসার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

Related Posts

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক
নির্বাচিত

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক

তারেক রহমানের সঙ্গে একমত পোষণ করে যা বললেন সারজিস
নির্বাচিত

তারেক রহমানের সঙ্গে একমত পোষণ করে যা বললেন সারজিস

সরকার গঠন করতে পারলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি
নির্বাচিত

সরকার গঠন করতে পারলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি

লন্ডন বৈঠকে সংকট কি আসলেই কেটেছে?
নির্বাচিত

লন্ডন বৈঠকে সংকট কি আসলেই কেটেছে?

নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত স্বস্তির বার্তা
নির্বাচিত

নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত স্বস্তির বার্তা

Next Post
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে কতজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদর দপ্তরও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে।  অন্যদিকে পুলিশের অনুপস্থিতিতে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে।   এখনো অনেক পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছে না। এ অবস্থায় পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম বলেন, চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাজ করছে। জানা গেছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হলে গত সোমবার সারা দেশে পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয়।   ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা। হত্যা করা হয় অনেক পুলিশ সদস্যকে। মূলত এর পর থেকে পুলিশ সদস্যরা উধাও হয়ে যান। পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পালিয়ে রয়েছেন জানিয়ে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি।   চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গত শুক্রবার রাজারবাগে ভুক্তভোগী মাঠ পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে নতুন আইজিপির বৈঠকের কথা ছিল দুপুরে। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে সেটা স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যায় অনেকটা। এক পর্যায়ে অনিয়ম দূর করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিচার চেয়ে ব্যাপক স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ সহকর্মীরা।  সেখানে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য বলেন, বিক্ষোভের মুখেই নতুন আইজিপি ময়নুল ইসলাম এক পর্যায়ে রাজারবাগ ছেড়ে চলে যান। আইজিপির উপস্থিতিতেই স্লোগান ওঠে, ‘আমার ভাই মরল কেন জবাব চাই’, ‘পুলিশ হবে জনতার’।   পুলিশ মহাপরিদর্শকের সামনেই ক্ষোভ দেখিয়ে সদস্যরা জানতে চান, কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রক্তপাত ও হতাহতের জন্য দায় কার। অধস্তন কর্মকর্তাদের কিভাবে ঊর্ধ্বতনরা ব্যবহার করেন! এসবের পাশাপাশি বাহিনীর অভ্যন্তরীণ নানা অসংগতি তুলে ধরেন তাঁরা।  পুলিশ ‘হত্যা’র বিচার দাবি করে একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা চাই ব্যবস্থা, ব্যবস্থা, ব্যবস্থা।’  তাঁদের বক্তব্যের মধ্যেই মঞ্চের পেছনে বিশাল স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায় নিহত পুলিশের মরদেহ ও রক্তাক্ত ছবি। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের কাউকে কেন সরকারের উপদেষ্টা করা হলো না প্রশ্ন তুলে একজন বলেন, ‘অনিয়মের বিচার চাই।’ এ সময় আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাবের ডিজি এবং তাঁদের কয়েকজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছাড়া আর কারো পরনেই ইউনিফর্ম ছিল না। এটি নিয়েও কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা।  একজন নারী পুলিশ সদস্য মঞ্চে উঠে বলেন, ‘আজ এখানে আইজিপি স্যারের সঙ্গে মিটিং করতে আমার যথাযথ ইউনিফর্ম ও র‌্যাক ব্যাজ পরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার কারণে এখন পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিতে পারছি না। এই অবস্থার উত্তরণ চাই আমরা।’  জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দায়ী করেন পুলিশের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও সদস্যরা। গত শুক্রবার ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে নতুন আইজিপি ময়নুল ইসলামের উপস্থিতিতে বৈঠকে জড়ো হওয়া পুলিশ সদস্যরা নানা অসংগতি তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে শেখ হাসিনার পতন ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বহু সদস্যকে হত্যার পর স্থবির হয়ে পড়া পুলিশকে সচল করার চেষ্টায় ঢাকার রাজারবাগে বৈঠকে দেখা গেল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।  থানায় থানায় হামলা চালিয়ে হত্যার প্রেক্ষাপটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নিয়ে আছেন বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। পুলিশ সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে শুধুই লাশ আর পোড়া থানার ছবি আদান-প্রদান করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারাই। এ সময়ে পুলিশের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমনের উদ্যোগ হিসেবে সেখানে আসার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে কতজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদর দপ্তরও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশের অনুপস্থিতিতে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। এখনো অনেক পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছে না। এ অবস্থায় পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম বলেন, চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাজ করছে। জানা গেছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হলে গত সোমবার সারা দেশে পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয়। ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা। হত্যা করা হয় অনেক পুলিশ সদস্যকে। মূলত এর পর থেকে পুলিশ সদস্যরা উধাও হয়ে যান। পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পালিয়ে রয়েছেন জানিয়ে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গত শুক্রবার রাজারবাগে ভুক্তভোগী মাঠ পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে নতুন আইজিপির বৈঠকের কথা ছিল দুপুরে। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে সেটা স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যায় অনেকটা। এক পর্যায়ে অনিয়ম দূর করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিচার চেয়ে ব্যাপক স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ সহকর্মীরা। সেখানে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য বলেন, বিক্ষোভের মুখেই নতুন আইজিপি ময়নুল ইসলাম এক পর্যায়ে রাজারবাগ ছেড়ে চলে যান। আইজিপির উপস্থিতিতেই স্লোগান ওঠে, ‘আমার ভাই মরল কেন জবাব চাই’, ‘পুলিশ হবে জনতার’। পুলিশ মহাপরিদর্শকের সামনেই ক্ষোভ দেখিয়ে সদস্যরা জানতে চান, কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রক্তপাত ও হতাহতের জন্য দায় কার। অধস্তন কর্মকর্তাদের কিভাবে ঊর্ধ্বতনরা ব্যবহার করেন! এসবের পাশাপাশি বাহিনীর অভ্যন্তরীণ নানা অসংগতি তুলে ধরেন তাঁরা। পুলিশ ‘হত্যা’র বিচার দাবি করে একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা চাই ব্যবস্থা, ব্যবস্থা, ব্যবস্থা।’ তাঁদের বক্তব্যের মধ্যেই মঞ্চের পেছনে বিশাল স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায় নিহত পুলিশের মরদেহ ও রক্তাক্ত ছবি। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের কাউকে কেন সরকারের উপদেষ্টা করা হলো না প্রশ্ন তুলে একজন বলেন, ‘অনিয়মের বিচার চাই।’ এ সময় আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাবের ডিজি এবং তাঁদের কয়েকজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছাড়া আর কারো পরনেই ইউনিফর্ম ছিল না। এটি নিয়েও কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা। একজন নারী পুলিশ সদস্য মঞ্চে উঠে বলেন, ‘আজ এখানে আইজিপি স্যারের সঙ্গে মিটিং করতে আমার যথাযথ ইউনিফর্ম ও র‌্যাক ব্যাজ পরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার কারণে এখন পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিতে পারছি না। এই অবস্থার উত্তরণ চাই আমরা।’ জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দায়ী করেন পুলিশের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও সদস্যরা। গত শুক্রবার ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে নতুন আইজিপি ময়নুল ইসলামের উপস্থিতিতে বৈঠকে জড়ো হওয়া পুলিশ সদস্যরা নানা অসংগতি তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে শেখ হাসিনার পতন ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বহু সদস্যকে হত্যার পর স্থবির হয়ে পড়া পুলিশকে সচল করার চেষ্টায় ঢাকার রাজারবাগে বৈঠকে দেখা গেল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। থানায় থানায় হামলা চালিয়ে হত্যার প্রেক্ষাপটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নিয়ে আছেন বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। পুলিশ সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে শুধুই লাশ আর পোড়া থানার ছবি আদান-প্রদান করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারাই। এ সময়ে পুলিশের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমনের উদ্যোগ হিসেবে সেখানে আসার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

ADVERTISEMENT

সর্বশেষ সংযোজন

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

ADVERTISEMENT

ট্রেন্ডিং নিউজ

তেল আবিবে ধ্বংসযজ্ঞ: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে আহত ২০০, নিখোঁজ অনেক
আন্তর্জাতিক

তেল আবিবে ধ্বংসযজ্ঞ: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে আহত ২০০, নিখোঁজ অনেক

আলোচনা চাইলে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে: ইরান
আন্তর্জাতিক

আলোচনা চাইলে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে: ইরান

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

Facebook Twitter Youtube

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

Categories

  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • ইসলাম ও জীবন
  • জবস
  • জাতীয়
  • টপ স্টোরি
  • নির্বাচিত
  • পাঁচমিশালি
  • প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • ভিডিও
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা ও ক্যাম্পাস
  • স্পটলাইট
  • স্পোর্টস
  • স্বাস্থ্য

Site Navigation

  • Home
  • Advertisement
  • Contact Us
  • Privacy & Policy
  • Other Links

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।