সিরাজগঞ্জে সহিংসতায় ১১ পুলিশ সহ ২১ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১১ পুলিশকে হত্যা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক। রোববার ৪ আগস্ট বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ওদিকে সিরাজগঞ্জে দিনভর সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
এরমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদরে ৩ জন, রায়গঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার লিটনসহ ৬ জন ও শাহাদাতপুরে একজন রয়েছেন। দৈনিক সমকাল সুত্রে জানা যায়, থানার সামনে ও ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নিহতদের মরদেহ। রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পর্যন্ত সেখানে পড়ে থাকা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়নি। জেলা সদর থেকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সুপার অফিস সূত্রে জানা গেছে।
মরদেহের নাম, পরিচয় বা পদবী শনাক্ত হয়নি। পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আতঙ্কে রয়েছেন। দৈনিক সমকালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এনায়েতপুর হাট কমিটির সহ-সভাপতি মোকতার হোসেন বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে তিন থেকে চার হাজার আন্দোলনকারী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী থানা ঘেরাওয়ের পর ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ ছাদে উঠে আত্মরক্ষায় রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়লে অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়।
পরে তারা থানা থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদসদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পুলিশ সদসদের বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় একে একে সবাই থানা প্রাঙ্গণে বিনাচিকিৎসায় মারা যান।’