এদিকে, উত্তরায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, সাউন্ড গ্রেনেড-কাদাঁনে গ্যাস নিক্ষেপ। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ি গুলিবিদ্ধ – আহত অনেকে। একপর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশের গুলিতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাহমিদ হুজাইফা গুলিবিদ্ধ ও উত্তরা ১১নং সেক্টরের ১নং রোডে অবস্থিত ভুবন লন্ড্রি হাউজের মালিক দুলাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ গণমিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। তাদের এই কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা উত্তরা ১১নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। বিকাল ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা মাইলস্টোন কলেজের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন। এ সময় পুলিশও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় এবং গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জমজম টাওয়ারের সামনের সড়কে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে পড়েছেন।