সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময়ের জন্য ডেকে কথা বলতে না দেওয়ায় তাকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। সাবেক নেতারা বলেন, মাঠে ছাত্রলীগ নেতাদেরকে সব সময় খাটানো হয়। সব ধরনের ঝুঁকি নেয় ছাত্রনেতারা। আর আওয়ামী লীগ নেতাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করে, একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে-মেয়ে ছাত্রলীগ করে না। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা সাংবাদিকদের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকরা কেন এখানে— এমন প্রশ্নের মুখে অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে যান সাংবাদিকরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে মতবিনিময়ের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ। বেলা ১১টায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকেও আগের দিন জানানো হয়। অন্যদিকে ছাত্রনেতারা জানান, তাদেরকেও মতবিনিময় সভার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর সভায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় উপস্থিত একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের যেটা করেছেন, সেটা নতুন কিছু নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে ডাকা যৌথ সভাগুলোতে সাধারণত কাউকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একাই কথা বলেন। কিন্তু বুধবার মতবিনিময়ের আমন্ত্রণ পেয়ে আসা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা সামনে থেকে হট্টগোল শুরু করেন। একজন বলে ওঠেন, ‘ডেকে এনে আপনি একাই কথা বলা শুরু করলেন, আমাদেরওতো বহু কথা আছে।’
এ সময় অনেকে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে অনুষ্ঠান শেষ না করেই সভাস্থল ত্যাগ করেন ওবায়দুল কাদের। অনেক সাবেক ছাত্রনেতা মত বিনিময় সভার মাঝেই বের হয়ে চলে যান, যাওয়ার সময় কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ডেকেছেন, আগে তো আমাদের কথা শুনবেন, আমাদের কথা বলার সুযোগ দেবেন। কিন্তু তা না করে মতবিনিময় সভার জন্য ডেকে মিডিয়ার সামনে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন।
এটা ঠিক না, এটা স্বেচ্ছাচারিতা। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মতবিনিময় সভায় এলে অনেকেই হইহুল্লোড় করে ওঠেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের একজন চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘উনি এখানে কেন? উনার ছেলে তো সরকারের বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়।’