আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষকরা। বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা এ সমাবেশ করেন। মুখে লাল কাপড় বেঁধে তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের গণহত্যা করা হয়েছে দাবি করে এর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান বক্তারা। সমাবেশে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন তারা। সমাবেশে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা প্রথমেই পরিষ্কার করে বলতে চাই এই হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রীয় মদদে হয়েছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা হয়েছে। যাদের আমরা বলতে পারি প্রাইভেট বাহিনী।
এই হত্যাকাণ্ডের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের জন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক তদন্ত দরকার। আমরা আমাদের নিহত, আহত, গুম হওয়া এবং নির্যাতিত জাতীয় জনগণের পক্ষ থেকে সমর্থন জানাই।’তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অস্বীকার করার জন্য গতকাল শোক দিবসের নামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সেখানে দেখবেন নিহত এবং আহতের জন্য কালো ব্যাচ পরিধান করতে বলেছেন, আমরা কিন্তু সেটা প্রত্যাখান করে লাল ব্যাচ পরেছি। নিহতদের তারা শহীদ বলতে রাজি নন। তারা যদি শহীদ না হন, শুধু নিহত হন- তাহলে তাদের জন্য প্রার্থনার প্রয়োজন কী! বর্তমান সরকারকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে পদত্যাগ করতে হবে।
ড. সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, ‘এই পদত্যাগ ছাড়া নতুন কোনো ব্যবস্থা আমরা দিতে পারব না। আমরা বিশাল জনস্রোতের সঙ্গে আছি। আমরা কিন্তু ভেসে যাওয়ার জন্য আসিনি। বুদ্ধিজীবী হিসেবে আমাদের এখানে আসা দরকার। আমাদের এই সমস্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করা দরকার। কিন্তু সরকার সেদিকে না গিয়ে বলে এই দল সেই দলকে নিষিদ্ধ করা দরকার।
সেটা কিন্তু মূল সমস্যার সমাধান নয়। শুধু সমস্যাকে আরও বাড়াবে। ক্যানসারের চাইতে আরও বাড়াবে। শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করে সলিমুল্লাহ খান বলেন,’‘শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার কেন, মুক্তি দাও। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি আসতে না পারে আমরা কাকে পড়াব, কী পড়াব,’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।