অলিম্পিক ফুটবলের দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচটি স্মরণীয় করতে পারলেন না ব্রাজিলিয়ান নারী কিংবদন্তী মার্তা। জাতীয় দলের হয়ে ২০০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলকটি কেটেছে বিষণ্ণতা দিয়ে। জাপানের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলে হারের পর ব্রাজিলের কোয়াটার ফাইনাল খেলা এখন অনিচ্ছয়তার পথে। আরেকটি ম্যাচ সামনে রেখে আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন সেলেসাওরা।
ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্তার অলিম্পিক স্বর্ণজয়ের সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
পার্ক দে প্রিন্সেসের মাঠে ব্রাজিলকে ১০ নম্বর জার্সিতে নেতৃত্ব দেয়া মার্তার বানিয়ে দেয়া বলেই ৫৬ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। নিখুঁত শটে জাপানের জালে বল পাঠান জেনিফার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের শেষে যোগ করা সময়ে নাটকীয়ভাবে ২ গোল হজম করে হারতে হয়েছে তাদের। জাপানের হয়ে গোল করেন সাকি কুমাগাই ও মোমোকো তানিকাওয়া। নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট আগে মাঠ ছেড়ে বেঞ্চে বসেই দলের হার দেখতে হয়েছে এই ফুটবল রানীর।
চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো মার্তা বলেন, ‘জাপান জেতার জন্যে কোন কমতি রাখেনি। আমরা বল থেকে নজর সরিয়ে নিয়েছিলাম। এতে অবশ্যই আমাদের মূল্য দিতে হয়েছে।’
তবে হাল ছাড়তে নারাজ মার্তা। প্যারিস অলিম্পিকের কোয়াটার ফাইনাল স্বপ্ন এখনও বাঁচিয়ে রেখে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই জয় উদযাপন করতে পারতাম। আমাদেরকে আরও মনোযোগী হতে হবে। টুর্নামেন্ট এখনও শেষ হয়নি। টিম হিয়ে সবকিছু দিয়ে খেলতে হবে। ফুটবলে যে কোনো কিছু হতে পারে।’
তিনি এর আগে ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে ব্রাজিলকে রৌপ্যপদক জিতিয়েছেন। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব পেলেও তার ২২ বছরের ক্যারিয়ারের অধরা স্বর্ণপদকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন মার্তা। তাইতো এই আক্ষেপ ঘোষাতে ষষ্ঠবারের মত অলিম্পিক খেলছেন এই সাম্বা তারকা।
এদিকে, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ গত বছরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। নকআউট পর্বে যাওয়ার জন্য স্পেনের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই দুইবারের অলিম্পিক রৌপ্য বিজয়ী ব্রাজিলের। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল হতে না পারলেও সেরা দুই তৃতীয় স্থান অধিকার করে কোয়াটার ফাইনাল হাতছানি দিচ্ছে তাদের।