ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিকোলা মাদুরো জয়ী হয়েছেন। ভোটের আংশিক ফলাফলের ভিত্তিতে এমন ঘোষণা দেয় দেশটির জাতীয় নির্বাচনী পরিষদ (সিএনই)। ফলাফল ঘোষণার পরই বিরোধী প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার সাধারণ জনগণ। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বিজয় দাবি করার পরদিনই ভেনিজুয়েলার রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সোমবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ মধ্য কারাকাসে বিক্ষোভের জন্য জড়ো হন। এছাড়া শহরের চারপাশের পাহাড়ের বস্তি থেকে কয়েক মাইল হেঁটে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে বিক্ষোভ করতে করতে এগিয়ে আসেন। খবর বিবিসির।
এদিকে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভ ঠেকাতে ভেনেজুয়েলার নিরাপত্তা বাহিনী জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সারা দেশে সাধারণ জনগণ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পোস্টার নামিয়ে ছিঁড়ে আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় বিক্ষোভ রুখতে মাদুরোর সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল সশস্ত্র পুলিশ, সামরিক এবং বামপন্থী আধাসামরিক বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং শহরের কেন্দ্রের চারপাশের অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
টানা ১১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এতে মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এডমুন্ডো গঞ্জালেজ নির্বাচনে অংশ নেন। রোববার (২৮ জুলাই) মধ্যরাতের পর জাতীয় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ ( সিএনই) জানায়, মাদুরো ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী এডমান্ডো পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট।
ভোটের এ ফলাফল নিয়ে দেশব্যাপী শুরু হয় বিক্ষোভ। এডমান্ডো গঞ্জালেজের দাবি, তিনি ৭৩.২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।
এদিকে, এ নির্বাচন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ভেনেজুয়েলার নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ মাদুরোকে যে বিজয়ী ঘোষণা করেছে, তা জনগণের ভোটের প্রতিফলন নয়। এ নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তারা পর্যক্ষেণ করছেন বলেও জানান তিনি।