গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। দিন যত যাচ্ছে এই বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নিচ্ছে। এবার ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভে হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলপন্থীরা।
এমনই এক হামলার পর দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাস। খবর বিবিসি, রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় সময় বুধবার ক্যাম্পাসগুলোতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে বেশ কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এর বিপরীতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে কর্মসূচি পালন করছিলেন ইসরায়েলপন্থী শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
তবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান ইসরায়েল সমর্থকেরা। তাঁরা ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের দিকে আতশবাজি, পানির বোতল ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়েন। লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের তাঁবু ও প্ল্যাকার্ডেও ভাঙচুর করা হয়। এর একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে দায়। বুধবার ভোর নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুধু ক্যালিফোর্নিয়া নয়, নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণও ছিল উত্তপ্ত। বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয় ক্যাম্পাসে। গত ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কের সিটি কলেজ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা চ্যাপেল হিল ও ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটি থেকে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আটক হয়েছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছিল ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে দেশটিজুড়ে ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টানিয়ে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি ইসরায়েল এবং দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনুদান নেওয়া বন্ধের দাবিতে সমাবেশ, মিছিল ও অনশন করছেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের এসব কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে হাজারো শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীকে।