শেষ ওভারে ১৭ রান ডিফেন্ড করতে না পারায় অনেকেই মুস্তাফিজুর রহমানকে তুলছেন কাঠগড়ায়। কিন্তু এমনটি করতে নারাজ চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কেয়াড়। তার মতে, জয়ের জন্য যথেষ্ঠ রান পায়নি তার দল।
শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন স্টয়নিস। তৃতীয় বলটি মুস্তাফিজ করেন ‘নো’, সেটিতেও হয় চার। ফ্রি হিটে আরেকটি চারে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান স্টয়নিস।
বল হাতে দিনের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল মুস্তাফিজের। নিজের প্রথম ওভারে দেন মাত্র ৪ রান, পেয়েছিলেন লোকেশ রাহুলের মুল্যবান উইকেট। তবে প্রতি ওভারেই তার রান দেওয়া সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে। পরের ওভারেদেন ১৩ রান, তৃতীয় ওভারে ১৫। সব মিলিয়ে ৩ ওভার ৩ বলে ৫১ রান দেন মুস্তাফিজ।
এদিনের আগে ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজের ওপর শেষ ওভারে ভরসা রাখেন চেন্নাই অধিনায়ক। কিন্তু বাংলাদেশি পেসার এলোমেলো বোলিংয়ে লড়াই জমাতে পারেননি।
রুতুরাজ মনে করেন, এই উইকেটে এই রান ডিফেন্ড করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচ হারের পর তিনি বলেন, ‘জাদেজা ৪ নম্বরে ব্যাট করছে। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই আমরা দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিলাম যে কারণে সে (জাদেজা) তখন ব্যাটিংয়ে আসে। এটা আমাদের পরিকল্পনার অংশ। যখনই (দুই) উইকেট পড়বে তখনই জাদেজা আসবে। আমি মনে করি এটা (দলীয় রান) যথেষ্ট নয়। তবে তারা যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
চেন্নাই অধিনায়কের মতে, গতকাল রাতে চিপাকে যথেষ্ট শিশির ছিল। যার প্রভাব পড়েছে খেলায়। ফিল্ডিংয়ে সমস্যা হয়েছে, একই সঙ্গে স্পিনারদেরও বল গ্রিপ করতে বেগ পেতে হয়েছে।
এক পর্যায়ে ১১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান ছিল লাক্ষ্মৌর। শেষ ৮.৩ ওভারে তারা তোলে ১২৩ রান। দিপক হুদার সঙ্গে স্টয়নিসের পঞ্চম উইকেটের জুটি ছিল ১৯ বলে ৫৫ রানের।
রুরুরাজ বলেন, ‘এই হার হজম করা কঠিন কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো খেলেছে লক্ষ্ণৌ। ১৩ তম ওভার পর্যন্তও ম্যাচ আমাদের হাতে ছিল। স্টয়নিসকে টুপি খোলা অভিনন্দন। এই ম্যাচে শিশির বড় প্রভাব রেখেছে। শিশিরের কারণে স্পিনাররা সুবিধা করতে পারেনি। তা না হলে আমরা আরেকটু ভালো করতাম। কিন্তু এটা খেলারই অংশ, যা আপনার হাতে নেই তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।’
চেন্নাই বড় সংগ্রহ পায় রুতুরাজের অপরাজিত সেঞ্চুরি আর শিভাম দুবের বিস্ফোরক ফিফটিতে। টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ ও চলতি আসরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে রুতুরাজ ৬০ বলে তিন ছক্কা ও ১২ চারে করেন ১০৮ রান। তার সঙ্গে ৪৬ বলে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পথে রীতিমত তাণ্ডব চালান দুবে। ২৭ বলে সাত ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৬৬ রান। কিন্তু দিন শেষে তাদের পুড়তে হয় হারের বেদনায়।