ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনাও রয়েছে। তবে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।
একইসঙ্গে ইসফাহানের ওপরে ৩টি ড্রোন ধ্বংস করার কথাও জানানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
আল জাজিরা বলছে, ‘গ্রিনিচ মান সময় প্রায় ১২:৩০ টায়’ ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা গেছে, এরপর ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘আকাশেই ওই ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়’।
ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।
এদিকে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘নিরাপদে’ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী আইআরআইবি ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র’ উদ্ধৃত করে বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’।
অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও ‘নিরাপদ’ রয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সংস্থা আইআরআইবি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ওই ভিডিওতে তাদের একজন সাংবাদিককে ইসফাহান শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি ভবনের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেছেন, ‘শহর নিরাপদ এবং অক্ষত রয়েছে, মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘কয়েক ঘণ্টা আগে আকাশে শব্দ শোনা গিয়েছিল। আমরা যা জানি, ইসফাহানের আকাশে সেসময় একাধিক মিনি ড্রোন উড়ছিল, তবে পরে সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
আইআরআইবির ওই সাংবাদিক বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত, প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনও তথ্য দেয়নি। কিছু আউটলেট বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বলছি, এই তথ্যটি মিথ্যা, কোনও স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।’
এদিকে ইরানের আধা-সরকারি মেহর নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট জানিয়েছে, শহরের বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর ইসফাহান শহর ‘সম্পূর্ণ শান্ত এবং সুরক্ষিত’ রয়েছে। মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলাচল করছে বলেও জানানো হয়েছে।